শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল লাগোয়া সুলভ শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের কাছ থেকে ৫০ পয়সা নেওয়ার কথা। অথচ দায়িত্বে থাকা সংস্থা শৌচাগার ব্যবহারের জন্য ২ টাকা এবং মহিলাদের প্রস্রাবাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১ টাকা করে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে দু বছরে ১০ লক্ষাধিক বাড়তি টাকা তোলা হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ। সুলভ ব্যবহারের ‘ফি’ বাড়িয়ে ওই সংস্থা ঠিক কত বছর ধরে বাড়তি কী পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করেছে তা নিয়েও তদন্তের দাবি উঠেছে। তার জেরে গত সেপ্টেম্বর মাসের সুলভ শৌচাগারের বিদ্যুত্ বিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা না মেটানোয় সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুত্ বন্টন কোম্পানি। তাতে গত বৃহস্পতিবার থেকে সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার হয়ে পড়ছে শৌচাগার চত্বর। বিপাকে পড়েছেন ব্যবহারকারী হাসপাতালের ভর্তি রোগীর আত্মীয়-পরিজন, এলাকার ব্যবসায়ীরা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা তৈরি করে ১৯৯২ সালে সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সোসাল সার্ভিস অর্গানাইজেশনকে শৌচাগার চালানোর দায়িত্ব দেয়। ঠিক হয় বিদ্যুত্ বিল পুর কর্তৃপক্ষই মেটাবে। পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “সংস্থার প্রতিনিধিদের সোমবার ডাকা হয়েছিল। তাঁরা আসেননি। মঙ্গলবার আসবেন বলে জানিয়েছেন। চুক্তির নিয়ম ভেঙে তাঁরা বেশি টাকা ফি নিচ্ছেন। বিদ্যুত্ বিল তাদের দেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাড়তি যে টাকা আদায় হয়েছে তা ফেরত্ চাওয়া উচিত বলে আধিকারিকদের একাংশ মনে করেন।
সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সোসাল সার্ভিসের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বীরেন্দ্র পাঠক বলেন, “মূল্য বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে ৫০ পয়সার ব্যবহার কমে যাওয়ায় ফি বাড়ানোর জন্য পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল। কোনও সদুত্তর মেলেনি। বছর দুয়েক আগে তাই ফি বাড়ানো হয়েছে। তবে পুর কর্তৃপক্ষ যে ভাবে চাইবেন আমাদের তাতে সমস্যা নেই।” প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আমাদের সময় এ ধরনের কোনও অভিযোগ পাইনি। নিয়ম ভেঙে টাকা নিলে বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উড়িয়ে দিতে চান না পুরসভার কর্মী, আধিকারিকদের একাংশ।
পুর কর্তৃপক্ষের ধারণা, প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার লোক সুলভ ব্যবহার করেন। ৫০ পয়সা ফি হলে ২ বছরে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আদায় হয়। ফি বেশি নেওয়ায় প্রতিদিন অন্তত ২ হাজার টাকা আদায় হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা সংস্থার দাবি, প্রতিদিন ৫০০ জন বাসিন্দা সুলভ ব্যবহার করেন। মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে আদায় হয়। কর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে তাদের সামান্য লাভ থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy