Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪

রাহুলের সভায় যেতে জোর করা হয়নি, বললেন অভিভাবকরা

ডুয়ার্সে রাহুল গাঁধীর কর্মিসভায় স্কুল পড়ুয়াদের হাজির করতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোরাজুরি করা হয়েছে কিনা, প্রশ্ন তুলেছিল নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে শনিবার তদন্তে গিয়ে স্কুল, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। অভিভাবকরা জানালেন, রাহুল গাঁধীকে দেখতে সে দিন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই গিয়েছিল পড়ুয়ারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৪ ০১:২১
Share: Save:

ডুয়ার্সে রাহুল গাঁধীর কর্মিসভায় স্কুল পড়ুয়াদের হাজির করতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোরাজুরি করা হয়েছে কিনা, প্রশ্ন তুলেছিল নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে শনিবার তদন্তে গিয়ে স্কুল, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। অভিভাবকরা জানালেন, রাহুল গাঁধীকে দেখতে সে দিন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই গিয়েছিল পড়ুয়ারা।

গত ২৫ মার্চ জুরান্তির ফুটবল মাঠে রাহুল গাঁধীর নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিল বেশ কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রী। রাজনৈতিক সভায় স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে গিয়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তার প্রেক্ষিতে কমিশনকে জেলা প্রশাসন জানায়, সভায় স্কুল পড়ুয়া ছিল। কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, পড়ুয়ারা নিজে থেকেই গিয়েছিল, নাকি তাদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?

ঘটনার তদন্ত করতে শনিবার জুরান্তি চা বাগানে যান মালবাজার মহকুমার মহকুমাশাসক তথা জেলা নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার জ্যোতির্ময় তাঁতি-সহ পাঁচ জন অফিসার। তাঁরা জানতে পারেন, সে দিন এলাকার প্রতিটি স্কুল থেকেই সভায় গিয়েছিল পড়ুয়ারা। তবে শিক্ষক, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক কর্তারা অনেকটাই নিশ্চিত হন, রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের জোরাজুরি করা হয়নি।

জুরান্তি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিচা থাপার মা নীতা দেবী বলেন, “রাহুলকে দেখতে যাবে বলে মেয়ে স্কুল থেকে মাঠে গিয়েছিল।” শিক্ষকেরা কর্মিসভার দিন স্কুলেই ছিলেন বলে জানান কয়েকজন অভিভাবক। এক শিক্ষকের কথায়, “প্রতিদিনের মতোই স্কুলে বাচ্চারা প্রার্থনা সঙ্গীত করে। তার পরই রাহুলের গাড়ি আসছে শুনে ছুট লাগায়। সভা শেষে ফিরেও আসে।”

সভাস্থলের চারপাশে যে আটটি স্কুল রয়েছে, তাঁর মধ্যে একটি জুরান্তি অতিরিক্ত টিজি প্রাথমিক স্কুল। সেখানে সকালের স্কুল ছুটির পর অনেক পড়ুয়া নিছক কৌতুহলী হয়ে রাহুলের সভায় যায়। স্থানীয় বিধায়ক তথা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী জোশেফ মুন্ডা বলেন, “অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে। আমরা ছাত্রছাত্রীদের সভায় যেতে বলিনি। সে দিন জুরান্তির সব স্কুলই অন্যান্য দিনের মতো খোলা ছিল।” জ্যোতির্ময়বাবু অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।

নির্বাচনী প্রচারে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তাপস পালের কর্মসভাতেও স্কুল পড়ুয়ারা হাজির ছিল বলে এ দিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এই নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। ২৫ মার্চ থানারপাড়ার নারায়ণপুরের ওই সভায় অভিনেতাকে দেখতে স্কুল ছুটির পর পড়ুয়ারা গিয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার নতুন একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন কাটোয়ার মহকুমা শাসক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বর্ধমানের মঙ্গলকোটে এক নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করার সময় আচরণবিধি ভেঙেছেন তিনি। এর আগে বীরভূমের আমোদপুরের এক সভায় একই অভিযোগে তাঁকে শো-কজ করেছিল কমিশন। অনুব্রত এ দিন জানান, কমিশনের চিঠির উত্তর দেব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি সব সময় সাবধানী মন্তব্যই করি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rahul ganhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE