আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সভার জন্য ব্যস্ততা। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে মেটেলির জুরান্তী চা বাগানে কর্মিসভা করবেন রাহুল গাঁধী। আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চা বাগানে কর্মিসভা শুরু হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকায় জুরান্তী চা বাগানে।
এমন একটি দলের কংগ্রেসের সহ সভাপতির কর্মিসভা হওয়ায়, বাসিন্দাদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। চা বাগানের একটি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে রাহুল গাঁধী সভা করবেন। দলের প্রার্থী জোসেফ মুন্ডা নিজেও জুরান্তী চা বাগানের বাসিন্দা।
জোসেফ মুন্ডা বলেন, “সামসিং এবং মেটেলির এক প্রান্তে জুরান্তীতে চা শ্রমিকদের সমস্যা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা সবই শুনবেন রাহুল গাঁধী। জুরান্তী প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।” চা বাগান প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া রিয়া সুব্বা, অরবিন্দ ছেত্রীরা অনুষ্ঠানের আগে কংগ্রেসের সহ সভাপতিকে বরণ করবেন। তারই প্রস্তুতি চলছে।
জুরান্তীর প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সচিন চামলিঙ বললেন, “খবর শুনে আমরাও উৎসাহিত।” চা বাগানের ম্যানেজার তাপস দাসের কথায়, “বাগানে প্রথমবার এতবড় মাপের নেতা আসছেন। শ্রমিকদের মধ্যেও এখন একমাত্র চর্চার বিষয় রাহুল গাঁধী। মেটেলি থেকে যে ৬ কিলোমিটার রাস্তা বাগানে এসে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন বেহাল হয়ে রয়েছে রাস্তাটি। রাহুল গাঁধী এলে আশা করি সে রাস্তাও সংস্কার হবে, সেটাও একটা বড় পাওনা।”
দিল্লি থেকে বিমানে হাসিমারার বায়ু সেনা ছাউনিতে রাহুল গাঁধী পৌঁছোবেন। সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টার করে মেটেলি পৌঁছোবেন। মেটেলির সভা সেরে তিনি ত্রিপুরায় সভা করতে যাবেন বলে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে। কর্মিসভা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। মোবাইলে এসএমএস, ভয়েস কলেও প্রচার চলছে বলে জানা গিয়েছে। কর্মিসভা ঘিরে নিরাপত্তার প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছে। মেটেলি হাইস্কুলের মাঠে হেলিকপ্টারে রাহুল গাঁধী নামবেন।
সেখান থেকে মেটেলি বাজার হয়ে জুরান্তীর কর্মিসভায় যাবেন তিনি। ওই সফর ঘিরে বাড়তি পুলিশ বাহিনীও আনা হচ্ছে বলে মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিমা শেরিং ভুটিয়া জানিয়েছেন।
এদিকে আগামী বুধবার কালিম্পঙ মহকুমার গরুবাথানে প্রচারসভায় যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গরুবাথান পানডারা মোড় লাগোয়া ময়দানে মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ত্রিশ কিলোমিটারের দূরে দুই দলের শীর্ষ নেতা নেত্রীর সভা ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মতো পুলিশ প্রশাসনেরও ব্যস্ততা আপাতত তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy