কোথাও সব মিলিয়ে ২ হাজার আসন, অথচ ফর্ম বিলি হয়েছে ৮ হাজার। আবার কোনও কলেজে সাকুল্যে ১২০০ আসন রয়েছে। ফর্ম বিলি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার। শিলিগুড়ির বিভিন্ন কলেজগুলিতে ভর্তির পরিস্থিতি এমন। মঙ্গলবার অধিকাংশ কলেজে ভর্তির ফর্ম দেওয়া এবং জমা নেওয়ার শেষে দিন ছিল। কয়েকটি কলেজে অবশ্য আজ, বুধবার ফর্ম জমা দেওয়া যাবে। তবে ফর্ম তোলার ক্ষেত্রে সমস্ত কলেজগুলিতে এ দিনই শেষ সুযোগ ছিল ছাত্রছাত্রীদের। শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলেজে সোমবার এসএফআই-এর ছাত্ররা নতুন পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে ‘হেল্প ডেস্ক’ করতে গেলে তাদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া অধিকাংশ কলেজগুলিতে গত ১০ জুন থেকে শুরু করে এ দিন পর্যন্ত ফর্ম বিলি এবং জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
শিলিগুড়ি সূর্যসেন কলেজ এবং শিলিগুড়ি কমার্স কলেজে আজ, বুধবারেও ফর্ম জমা করতে পারবেন উৎসাহীরা যাঁরা ইতিমধ্যেই ফর্ম তুলতে পেরেছেন। সূর্যসেন কলেজে কর্তৃপক্ষ জানান, ৮ হাজারের ওপর ফর্ম তুলেছেন পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে আসন রয়েছে হাজার দুয়েক। শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ ৭৫০১ টি ফর্ম বিলি করেছেন। তাঁদের অনার্স এবং পাস কোর্স মিলিয়ে আসন রয়েছে ১২০০। বাগডোগরার কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয় তথা বাগডোগরা কলেজ থেকেও ফর্ম বিলি হয়েছে ৬ হাজারের ওপরে। শহরের অনেক কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে এই কলেজে পড়ুয়াদের অনেকেই ভর্তি হন। তাই ভর্তি করানো নিয়েও চিন্তায় থাকতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। কলেজের অধ্যক্ষ রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, “৩৮ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পেলে ফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে বিভিন্ন মহলের চাপে ওই সীমা কমিয়ে ৩০ শতাংশ বা তার বেশি করা হয়েছে। সমস্ত বিভাগের আসন মিলিয়েও আমাদের কলেজে ২ হাজার আসন রয়েছে। পাহাড়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আমাদের কলেজে ভর্তি হন। তাই ভর্তি নিয়ে চাপ রয়েছে।”
শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ থেকে ২ হাজারের উপরে ফর্ম বিলি হয়েছে। এ দিন ফর্ম তোলার ক্ষেত্রে ভিড় দেখে কাউন্টারের সংখ্যা ২টি থেকে বাড়িয়ে ৪টি করা হয়। শিলিগুড়ির মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজে ২ হাজারের মতো ছাত্রছাত্রী ফর্ম তুলেছেন। কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৮০০ মতো ছাত্রছাত্রী। শিলিগুড়ি মহিলা কলেজে অনার্স এবং পাস কোর্স মিলিয়ে আসন রয়েছে সাড়ে ছ’শো। ফর্ম তুলেছেন ১৮০০ পড়ুয়া। ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাতে তাই চাপে কর্তৃপক্ষ। যদিও অনেকে একাধিক কলেজে ভর্তির জন্য ফর্ম তোলেন। এসএফআই-এর অভিযোগ, কলেজগুলিতে ভর্তির সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের তরফেই ‘হেল্প ডেস্ক’ করা হয়। শাসক দলের ছাত্র সংগঠন কলেজগুলিতে অন্য কাউকে থাকতে দেয়নি। সুর্যসেন কলেজে তারা হেল্প ডেস্ক করতে গেলে তাদের দুই ছাত্রকে মারধর করা হয়। এ দিন তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই হামলার প্রতিবাদে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের দফতরে স্মারকলিপি দেয় এসএফআই। এসএফআই জেলা সভাপতি সৌরভ দাস বলেন, “কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া এবং কাউন্সেলিং না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।” পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “একটি সংগঠনের ছাত্ররা স্মারকলিপি দেন। তাদের দাবি খতিয়ে দেখে কলেজগুলির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy