বাগডোগরা বিমানবন্দরের প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুলিশের তরফে বিমানবন্দরে একটি প্রিপেড বুথ চালু করা হয়েছে। তবে পুরনো যে বেসরকারি সংস্থা বুথ চালাচ্ছিলেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাটির শুনানির কথা রয়েছে। অভিযোগ, বছর খানেক আগে ওই প্রিপেড বুথটি বন্ধ করে নিজেরা বুথ চালুর চেষ্টা করেছিল শিলিগুড়ি পুলিশ। সেবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তত্কালীন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনকে আদালতে হাজির হতে হয়েছিল। সে যাত্রায় পুলিশ পিছু হটলেও মহালয়ার দিন ফের তা চালু করেছে। মঙ্গলবার থেকে দুটি বুথই বিমানবন্দরে চালু রয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগমোহনের দাবি, “আমাদের কাছে আদালতের কোনও নির্দেশ নেই। সংস্থাটিকে এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে বুঝে নিতে হবে।”
বেসরকারি সংস্থাটির অভিযোগ, নিয়ম মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাত এবং লাইসেন্স পেলেও এয়ারপোর্ট অথরিটি জেলা পরিবহণ দফতরের দেওয়া একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে বরাত বাতিল করতে চাইছে। বিমানবন্দর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট আদৌও সঠিক নয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এর বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। তার আগেই আরেকটি নতুন বুথ চালু হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টে এক দফায় মামলাটির শুনানিও হয়েছে।
সংস্থার কর্ণধার পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “এদিন আদালতে এয়ারপোর্ট অথরিটির আইনজীবীরা আগের স্থগিতাদেশের নির্দেশের কপি পাননি বলে জানান। আদতে তাঁরা যে নির্দেশের কপি হাতে পেয়েছিল, তার তথ্য প্রমাণ আদালতে দিয়েছি। তা ছাড়া, নতুন কোনও বুথ হলে ফের টেন্ডার করতে হয়। সে সব হয়নি।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের যাত্রীর সংখ্যার উপর প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালুর বিষয়টি ঠিক হয়। বহু বিমানবন্দরে একাধিক বুথ থাকে। সেখানে সরকারি এবং বেসরকারি দুই ধরণের বুথই থাকে। তবে কোনও বুথের লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি পুরোটাই এয়ারপোর্ট অথরিটির উপর নির্ভর করে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের বুথটির ক্ষেত্রে সংস্থাটির প্রিপেড বুথ চালানোর বরাত থাকলেও পরিবহণ দফতরের পুরানো লাইসেন্সটি ঠিক ছিল না বলে পরিবহণ দফতরের দাবি।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “ওই সংস্থার লাইসেন্সের কাগজপত্র ঠিক নেই। ওঁদের লাইসেন্স নবীকরণ করা হয়নি। এর বিরুদ্ধেও সংস্থাটি হাইকোর্টেও গিয়েছিল। সেখান থেকে আমাকে বিষয়টি দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সংস্থাটির পুলিশের অনুমতি, প্রিপেডের ট্যাক্সি বুথের আলাদা পরিবহণ দফতরের লাইসেন্স ঠিক নেই। সব এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জানানো হয়েছে।” গত ২৮ অগস্ট ওই রিপোর্ট এয়ারপোর্ট অথরিটিকে পাঠানো হয়েছিল বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, “আমি নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। সবকিছু খতিয়ে দেখছি। পুলিশের অনুমতি কলকাতা থেকে হয়েছে। পুরানো সংস্থাটিকে এখনই সরিয়ে বা তুলে দেওয়ার কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসেনি। দুটি প্রিপেড বুথই চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy