এ বার দুর্গাপুজোর আগে কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের মূল প্রবেশ পথ এবং রাস্তা ‘এলইডি’ আলোয় সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। মঙ্গলবার এক বৈঠকে ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, পর্যটকের কাছে কোচবিহারকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, মদন মোহন মন্দির লাগোয়া পামতলা মোড় এলাকা থেকে আনন্দময়ী ধর্মশালার সীমানা পর্যন্ত ওই আলোকসজ্জা করা হবে। মন্দির চত্বর ও বৈরাগিদিঘির চার দিকেও আলোক তোরণ বসানো হবে। পূর্ত (বিদ্যুত্) দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা সরোজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে পরিকল্পনার রুপরেখা চূড়ান্ত করবেন। প্রকল্পটি দেখভাল করবেন বোর্ড সদস্য তথা কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট’ তৈরি করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হবে। বোর্ডের সভাপতি জেলাশাসক পি উল্গানাথন এ দিন বলেন, “এলইডি আলোকসজ্জায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে বরাদ্দের আশ্বাস নিয়ে প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। পুজোর আগে কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করছি।”
ট্রাস্টি বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছে, ১৮৯০ সালে তৈরি হয় কোচবিহার শহরে অন্যতম আকর্ষণ মদনমোহন মন্দির। সারাবছর মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। কিছু দিন আগে ওই মন্দিরে অনলাইন পুজোর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু মদনমোহন মন্দির চত্বরের আকর্ষণ বাড়াতে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা এত দিন নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি কোচবিহার উন্নয়ন তহবিলের বৈঠকে জেলাশাসক বিষয়টি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেবের নজরে আনেন। তার পরেই মন্ত্রীর কাছ থেকে বরাদ্দের আশ্বাস মেলে। মহকুমা শাসক ট্রাস্টের সদস্য বিকাশ সাহা জানিয়েছেন, ওই আলোয় বিদ্যুত্ খরচ অপেক্ষাকৃত কমই শুধু নয়, এলইডি আলোকসজ্জা নানা সংস্থা নিখরচায় ৫ বছর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়।”
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, আট মিটার উঁচু তোরণ তৈরি করে সেখানে এলইডি আলোকসজ্জা করা হবে। এক একটি তোরণের মধ্যে গড়ে ৩৫ মিটার করে দূরত্ব রাখা হবে। আলোকসজ্জায় কোনও থিম রাখা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। পাসাপাশি এই দিনের বৈঠকে ট্রাস্টের বিভিন্ন কাজে ষাটোর্ধ্ব মোট বারো জন অস্থায়ী মালিকে বিশেষ আর্থিক অনুদান দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নতুনদের কাজে নিয়োগ করা, বিভিন্ন মন্দিরের সামনে থেকে জবর দখল হটানো, মন্দির-কর্মীদের বদলির মতো একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy