চার বছরের শিশুর কপালে রিভলবার ঠেকিয়ে তার দাদুর কাছ থেকে সোনার দোকানের সিন্দুকের চাবি ছিনিয়ে নিল ডাকাত দল। এরপর বাড়ি লাগোয়া গয়নার দোকান থেকে নগদ ও সোনা-রুপোর অলঙ্কার সমেত বেশ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে বলে ওই পরিবারের দাবি। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশেই তাঁর ছেলের বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান। সেখানেও লুঠপাট চালিয়েছে তারা। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার দুর্গাপুর হাটখোলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়েছেন অজিত কর্মকার নামে ৭২ বছর বয়সী ওই অলঙ্কার ব্যবসায়ী।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন রাতে ২০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল মুখে কাপড় বেঁধে অজিতবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। দুষ্কৃতীদের আরেকটি দল হাতে বোমা নিয়ে বাড়ির আশেপাশে ছড়িয়ে ছিল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অজিতবাবুর বাড়ির পিছনের গেট ভেঙে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। এরপর শাবল দিয়ে অজিতবাবুর শোওয়ার ঘরের দরজা ভাঙে। দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে টের পেয়ে দোতলার ঘরে থাকা অজিত বাবুর ছেলে অমিতবাবু স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন।
দুষ্কৃতীরা বৃদ্ধ অজিতবাবুকে মারধর শুরু করলে স্বামীকে বাঁচাতে চার বছরের নাতি অর্ককে নিয়েই ছুটে যান অজিতবাবুর স্ত্রী শঙ্করীদেবী। তখন শঙ্করীদেবীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তাঁর গলা থেকে সোনার হার ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এই ফাঁকেই এক দুষ্কৃতী অর্ককে কোলে নিয়ে তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে অজিতবাবুর কাছ থেকে গয়নার দোকানের সিন্দুকের চাবি সহ বাড়িতে থাকা টাকাপয়সা ও সোনাদানা দাবি করে। বাধ্য হয়েই অজিতবাবু দুষ্কৃতীদের হাতে সিন্দুকের চাবি তুলে দেন। দুষ্কৃতীরা প্রায় পৌনে একঘন্টা ধরে ওই বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে জানা গিয়েছে। এই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা অজিতবাবুর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা হাতে বোমা নিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেয়।
লুঠপাট চলাকালীন বাইরে পাহারায় থাকা দুষ্কৃতীরা পুলিশ আসার খবর দেয়। এরপরেই বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অজিতবাবু বলেন, “আমার ও আমার ছেলের সারাজীবনের আয় ও সম্পত্তি দুষ্কৃতীরা লুঠ করে পালিয়ে গেল। কীভাবে এখন সংসার চলবে তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ একটু আগে আসলে আমাদের সর্বস্ব লুঠ হতো না।” স্থানীয় দুষ্কৃতীদের মদত ছাড়া ওই কাজ সম্ভব ছিল না বলে অনুমান করছে পুলিশ। অজিতবাবুর বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া একটি লোহার শাবল, একজোড়া জুতো ও স্থানীয় ডিস্কো মোড় এলাকা থেকে ছ’টি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।”
বিষক্রিয়ায় মৃত ২। দু’টি পৃথক ঘটনায় বিষক্রিয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিল্পী দাস (২০) ওই এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতেই বিষ খান শিল্পী। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, বুধবার দুপুরে বাড়িতে বিষ খায় চোপড়ার ঝাড়বাড়ির বাসিন্দা সারিরুল হক (১৭)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy