এক কিশোরী অপহরণের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভবানীপুরে বিজেপির নেতৃত্বে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ভবানীপুর চৌরাস্তার মোড়ে টানা তিন ঘন্টা ধরে জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ভালুকা ও কুশিদাগামী দুটি রাজ্য সড়কও। ফলে, সকাল থেকেই চরম বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে দুপুর দু’টো নাগাদ পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ অবশ্য কিশোরী অপহরণের ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায় বলেন, “অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে।”
ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা এলাকায় পুরোহিত হিসেবে পরিচিত। এ মাসের তিন তারিখ বিকালে টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই কিশোরী। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। ৪ তারিখ কিশোরীর পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, কিশোরী নিখোঁজ হওয়ায় পর থেকে প্রতিদিন পরিবারের লোকেরা থানায় যোগাযোগ করলেও তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তারপর বাধ্য হয়েই তারা স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দ্বারস্থ হন। এর পরেই এদিন বিজেপির নেতৃত্বে পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। ভবানীপুর চৌরাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি ভালুকাগামী রাজ্য সড়ক ও কুশিদাগামী রাজ্য সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য পৃথক তদন্তকারী দল গঠনের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ ওঠে। কিশোরীকে উদ্ধারে কোনওরকম গাফিলতির অভিযোগ অবশ্য পুলিশ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, কিশোরীর পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়েছিল। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের পর অপহরের মামলা রুজু করেছে। একজনকে ধরাও করেছে। ওই যুবকের বাড়িতে কিশোরীর যাতায়াত ছিল বলে জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির তুলসিহাটা অঞ্চল কমিটির সম্পাদক মন্টু দাস বলেন, “কিশোরী স্বেচ্ছায় গিয়েছে নাকি তাকে অপহরণ করা হয়েছে তা তো তাকে উদ্ধার করলেই স্পষ্ট হবে। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিয়েও হাত গুটিয়ে বসে ছিল। বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সক্রিয় হোক আমরা সেটাই চেয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy