হিলি সীমান্তে ভাষা দিবস পালন। অমিত মোহন্তের তোলা ছবি।
একুশের আবেগে এপার-ওপার দুই বাংলা একাকার হয়ে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত। শনিবার সকালে হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে দু’দেশের জাতীয় পতাকা তোলা হয়। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বালুরঘাট শহরেও প্রভাতফেরি করে একুশে উদযাপন কমিটি।
এদিন জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশের সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং এপারের উজ্জীবন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে কবিতা পাঠ ও আলোচনায় সামিল হন দু’দেশের মানুষ। এরপর বাংলাদেশের হাকিমপুরে ভাষা শহিদের স্মৃতিতে আয়োজিত পদযাত্রায় পা মেলান এপারের সংস্কৃতি কর্মীরাও। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তরফে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের সংসদ সদস্য শিবলি সাদিক, উপজেলার নির্বাহী অধ্যক্ষ আজহারউল ইসলাম, প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট লিয়াকত আলি, হাকিমপুরের চেয়ারম্যান আকলাম হোসেন। এপারের কবি বিশ্বনাথ লাহা, অমল বসু, অতনু গঙ্গোপাধ্যায়েরা তুহিনশুভ্র মন্ডল, সূরজ দাসেদের মতো একঝাঁক সংস্কৃতি কর্মীর কবিতা, আবৃত্তি ও গানের আবেগে কাটাতারের বেড়ার দূরত্ব ঘুচে যায় বলে উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন।
কোচবিহারে ছবি আঁকলেন শিল্পীরা। হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।
নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল কোচবিহারেও শনিবার সরকারি উদ্যোগে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি হলঘরে মূল অনুষ্ঠানটি হয়। কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সাগরদিঘি পাড়ে ও দিনহাটার ফুলদিঘির পাড়ে চিত্রশিল্পীরা ছবি অঙ্কন ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভাষা দিবস পালন করেন। কোচবিহার এমজেএন স্টেডিয়ামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার তরফে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোচবিহার নতুন মসজিদেও দিনটি উদযাপিত হয়। এ দিন সন্ধ্যায় ইসলামপুরের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ইসলামপুরের শিল্পীদের নিয়ে সেই সাংস্কৃতির সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। আলিপুরদুয়ার মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে ভাষা দিবস পালিত হল। আলিপুরদুয়ার পুরসভা হলে শনিবার সকালে শহরে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠান হয়। বিকেলে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy