তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সব ঠিক থাকলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় রবিবার বিকেলে মোহনবাবুর হাতে দলের পতাকা তুলে দেবেন। না হলে সোমবার আনুষ্ঠানিক দলবদল হতে পারে। মোহনবাবু বলেন, “তৃণমূলের হয়ে এবার লড়তে চাইছি। একসময়ে সকলে মিলে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিলাম, তবে দলের প্রদেশ নেতৃত্ব সে বিষয়ে উৎসাহ দেখায়নি। তাই বলে, কংগ্রেসের কারও প্রতি আমার ক্ষোভ বা অভিমান নেই। জলপাইগুড়ির মানুষরাই আমাকে পরিচয় দিয়েছেন। জলপাইগুড়ির উন্নয়নের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে চাইছি।”
আজ, রবিবার বিমানে মোহনবাবু সহ কয়েকজন কাউন্সিলর কলকাতায় পৌঁছবেন। শনিবার রাতের ট্রেনে কয়েকজন কাউন্সিলরের রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যানের দলবদলের পরে পুরবোর্ডও তৃণমূলের দলেই যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। ২৫ ওয়ার্ডের জলপাইগুড়ি পুরসভায় বর্তমানে কংগ্রেসের ১৬ জন, তৃণমূলের ১ এবং বামফ্রন্টের ৮ জন কাউন্সিলর রয়েছে। রবিবার দলবদলের পরে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে ১১ হতে পারে। যদিও, তৃণমূল সূত্রের খবর দলবদলের পরে পুরসভার বোর্ডে আস্থা ভোটের সময়ে আরও কয়েকজন ডান-বাম কাউন্সিলের সমর্থন পাওয়া যাবে। রাজনৈতিক কারণেই এই মুহূর্তে তাঁদের দলবদলে সামিল করা হচ্ছে না। মোহনবাবু নিজেও এ দিন বলেছেন, “আশা করছি পুরবোর্ডেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়া যাবে।”
কংগ্রেসের ১৬ জন কাউন্সিলর থাকায় দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতে একসঙ্গে অন্তত ৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে দলবদল করতে হবে মোহনবাবুকে। সেই সংখ্যা অবশ্য মোহনবাবুর কাছে রয়েছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে জলপাইগুড়ি পুরসভায় মোহনবাবু চেয়ারম্যান রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy