নিজের লোককে বরাত পাইয়ে দিতে রেলের এক ঠিকাদারকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে ওই নেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেলের ওই ঠিকাদার। অভিযুক্ত নেতা জন নন্দী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা কেন্দ্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার আইএনটিটিইউসি’র ব্লক সভাপতি। তাঁর ভাই জয়দীপবাবু শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। অভিযুক্ত নেতার দাবি, ওই ব্যবসায়ীকে চেনেন না তিনি।
আগে বিহারে থাকলেও বছর দুয়েক ধরে রেলের ওই ঠিকাদার শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি রেলের লাইন দেখভালের জন্য তাঁরা দরপত্র দিতে গেলে আপত্তি জানান জন নন্দী ও তাঁর অনুগামীরা। তিনি বলেন, “ওদের নিষেধ সত্ত্বেও আমরা দরপত্র জমা দেওয়ায় অফিসে গিয়ে আমাদের কর্মীদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দরপত্র প্রত্যাহার করতে বলেন ওরা। গত ৭ জানুয়ারি আমাদের রামনগরের অফিসে ঢুকে অফিস বন্ধের ফরমানও জারি করেন। কর্মীদের জানিয়ে দেন যত দিন না টেন্ডার প্রত্যাহার না করা হচ্ছে ততদিন অফিস খুলতে দেবেন না। অন্যথায় অফিসে গাঁজা, অস্ত্র, মাদক রেখে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।” সেই থেকে বন্ধ রয়েছে তাঁদের অফিস। বন্ধ রয়েছে কাজকর্মও। এরপরেই পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
ওই সংস্থার দাবি, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের অধীনে রেল লাইন দেখভালের বিভিন্ন কাজ তারা বরাবরই করে থাকেন। তা নিয়ে এতদিন সমস্যা হয়নি। এখন শিলিগুড়িতে টেন্ডার জমা করতে গিয়ে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এখনও এমন কোনও অভিযোগ আমার হাতে পৌঁছয়নি। কী ব্যাপার খোঁজ নেব।”
অভিযুক্ত জনবাবু অবশ্য বলেন, “ওই ব্যবসায়ীকে চিনি না। এটা ঠিকাদারদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর গোলমাল বলেই মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। শুনেছি বিহার থেকে কিছু ঠিকাদার এসে এখানে কাজ করতে চান। আরেকপক্ষ তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।” পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “নেতা বলে ব্যাপার নেই। কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” রেলের বহু কোটি টাকার কাজের বরাত দেওয়া- নেওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি চক্র নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy