এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সাড়ে ছ’বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চার দিনের মাথায় ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। জলপাইগুড়ির ‘রিজনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ও ল্যাবরেটরি’র তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সেখানে যায়। ঘটনার দিন গণপিটুনিতে নিহত অভিযুক্তের বাড়ি ছাড়াও তার ঘর থেকে ‘বায়োলজিক্যাল’ নমুনা সংগ্রহ করে দলটি। শুক্রবার, ঘটনার দিন ওই নাবালিকার দেহ এলাকার একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা সেই পুকুরের ধারেও যান। সেখান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থল পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহের পরে দলের প্রধান মৌসুমী রক্ষিত বলেন, “ঘর এবং পুকুর থেকে বায়োলজিক্যাল ও অন্যান্য নমুনা মিলিয়ে অনেক নমুনাই পেয়েছি। আমাদের ল্যাবরেটরিতে সে সব পরীক্ষা করব। সেই অনুযায়ী পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।”
সাড়ে ছ’বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অন্য এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তদন্তে বিশেষ সহযোগিতা করছে না সে। তবে পুলিশের আর একটি সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে সব তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তার ভিত্তিতে তাকে জেরা করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও এ দিন নমুনা সংগ্রহ করেছেন।”
গত শুক্রবারই আলিপুরদুয়ার জেলায় ন’বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরে পুলিশ হেফাজতে না নেওয়ায় প্রশ্নও ওঠে। এ দিন ফের ওই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। তবে এ দিনও পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে চায়নি। সরকার পক্ষের আইনজীবী পীযূষকান্তি দত্ত বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। তাই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়নি। তবে তার কেপেবিলিটি টেস্ট বা সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য আদালতে এ দিন আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।”
এর আগে, ২২ অক্টোবরও আলিপুরদুয়ার জেলায় বছর সাতেকের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন এবং পরে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এ দিন ফের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সরকারি আইনজীবী জানান, ১৪ দিন পরে অভিযুক্তদের আদালতে পেশের পাশাপাশি তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy