চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উদ্বেগে আলিপুরদুয়ার ডুয়ার্স রুটের ট্রেন যাত্রীরা। গত বুধবার আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি সাধারণ কামরায় শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ করতে চেয়ে বাধা পেয়ে চলন্ত ট্রেনেই ওই জওয়ান শ্লীলতাহানি করে। সে সময়ে কামরাটিতে বেশি যাত্রী ছিল না বলে জানা গিয়েছে। অল্প কয়েক জন যাত্রী কামরায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। যুবতীর অভিযোগ শুনে অন্য যাত্রীরা অবশ্য জওয়ানকে ধরে ফেলে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ধৃত জওয়ানকে গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়ে। তাকে ছয় দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃত জওয়ানের নাম অজয় প্রামাণিক। তিনি অসমের গোসাইগাঁও-এর ৩১ নম্বর এসএসবি ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। গত বুধবার ছুটিতে নদিয়ার তাঁর বাড়িতে জওয়ানটি ফিরছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ডাউন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরাতে উঠেছিলেন অজয়। প্রাথমিক তদন্তে রেল পুলিশ জেনেছে, ধৃত জওয়ান সে দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আলিপুরদুয়ার থেকেই ট্রেনে ওঠেন এক যুবতী। তাঁর মালবাজারে নামার কথা ছিল। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ট্রেন ছাড়ার ৪০ মিনিট পর থেকে জওয়ানটি যুবতীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বারবার যুবতীর সঙ্গে যেচে আলাপ করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। এর পর বানারহাট স্টেশন পার হওয়ার পর আচমকাই যুবতীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই, যুবতী মোবাইলে ফোন করে বাড়িতে খবর দেন। নিউ মাল জংশন স্টেশনে ট্রেন আসার পরে যাত্রীরা জওয়ানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্টেশনেই রেল পুলিশের থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান যুবতী। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু হয় এসএসবি জওয়ানের বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ার থেকে রেলের ডুয়ার্স রুটে মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ রেলের আলিপুরদুয়ার বিভাগের স্টেশন কনসালটেন্ট কমিটির সদস্য ল্যারি বসু। তিনি এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “নিত্যযাত্রীরা সাধারণ কামরাতেই ওঠেন। অনেক মহিলাও ওই পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এমন ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের ভয় কমাতে দ্রুত সব কামরায় পুলিশি নজরদারি চালু করতে হবে।” রেল পুলিশের নিউ মাল জংশন থানার আইসি সুজিত মণ্ডল জানান, ঘটনার পরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy