আলোচনা ছাড়া মালবাজার মহকুমা আদালতে তিনটি ব্লকের দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার আপিল ও রিভিশনের নির্দেশ জারির অভিযোগ করে জলপাইগুড়ি জেলা জজের এজলাস বয়কট করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। নির্দেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা বয়কট আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। মালবাজার মহকুমায় এসিজেএম আদালত তৈরির দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মালবাজারেও।
মাসখানেক আগে মালবাজার মহকুমায় এসিজেএম আদালত তৈরির জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি জলপাইগুড়ির জেলা জজ পরিদর্শনে এসে মালবাজার মহকুমা শাসকের দফতর লাগোয়া একটি নির্মীয়মাণ ভবনে এসিজিএম আদালত তৈরির জন্য উপযুক্ত কি না তা দেখেন। ১৬ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও মালবাজারে পরিদর্শনে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “মালবাজার মহকুমা আদালতের বিষয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরি না করে আদালতের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। মালবাজারে সংশোধনাগারও নেই। অথচ নির্দেশ জারি করা হল।” রাজ্য বার কাউন্সিলের সহ সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “নির্দেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বয়কট আন্দোলন চলবে।”
মালবাজারে আদালত তৈরির পক্ষে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকে বলেন, “চা বাগানের আদিবাসীরা চিরকালই আইনি পরিষেবা পেতে হয়রান হয়েছেন। মালবাজারে আদালত হলে সেই হয়রানি কমবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমেও আন্দোলন করব।” একই দাবি করেছেন ডুয়ার্স তরাই নাগরিক মঞ্চের কার্যকরি সভাপতি ল্যারি বসুও। ব্যবসায়ী সংগঠন মালবাজার মার্চেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা মোহিত সিকদার জানান, মালবাজারের পক্ষে আন্দোলন করে এসেজিএম আদালাত তৈরির স্পষ্ট আশ্বাস মেলার পর তা কিছুতেই মুলতুবি রাখা মানা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy