প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ফের তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার হল। রানাঘাট থানা ও হুগলি জেলার সাইবার অপরাধ থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার ট্যাব-কাণ্ডের তদন্তে দিনভর সিআইডির একটি দল চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়। ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, ‘‘ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে বিভিন্ন জেলার পুলিশ জেলায় অভিযান চালাচ্ছে।’’ জেলা পুলিশের তরফে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ দিকে, এ দিনও চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক মহম্মদ বাবুল ওরফে বাবর স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। ট্যাব-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাকেও খুঁজছে। চোপড়া ও ইসলামপুরের বাড়িতেও এ দিন তার হদিস মেলেনি। দিনভর তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ চোপড়া থানার সোনাপুর দাসপাড়া ও ঘিরনিগাঁও থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফারুক আজম ও গুলজার আলি। ফারুকের বাড়ি চোপড়ার হাফতিয়া এলাকায়। গুলজারের বাড়ি স্থানীয় দাসপাড়ার ধন্দিগছে। ওই দুই অভিযুক্তকে হুগলির সাইবার অপরাধ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্য দিকে, একই রাতে রানাঘাট থানার পুলিশ চোপড়ার রৌসদিগছ এলাকা থেকে জাহাঙ্গির আলম নামে আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জাহাঙ্গির বাড়িতে একটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালাত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, জাহাঙ্গির ওই কেন্দ্র থেকে অনলাইনে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়েছে। ফারুক ও গুলজারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে বলে অভিযোগ। ওই দুই অভিযুক্ত মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিল বলে তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের দাবি। শুক্রবার ফারুক ও গুলজারকে ইসলামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তুলে দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়েছে হুগলি সাইবার অপরাধ থানার পুলিশ।
ধৃত জাহাঙ্গিরের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। গুলজার ও ফারুকের পরিবারের লোকেদের দাবি, তাদের দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অন্যরা ব্যবহার করেছিল। ফারুকের দাবি, পরিচিত এক ব্যক্তিকে সে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরতথ্য দিয়েছিল। গত কয়েকদিনে ট্যাব-কাণ্ডে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত ইসলামপুর ও চোপড়া থেকে ২০ জনকে ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy