এই সেই ডাকঘর। -নিজস্ব চিত্র।
বাগান বন্ধ তবুও খোলা রয়েছে কারখানার গেট। কারণ সেই কারখানার ভেতরেই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ পোস্ট অফিস।
২০১৪ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ডুয়ার্সের অতিপরিচিত বিতর্কিত রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান। বাগান জুড়ে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা। আর সেই নিস্তব্ধতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাঝে মধ্যেই সেখানে আশ্রয় নিচ্ছিল চিতাবাঘ, হাতি-সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীরা। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে এবং মানুষকে পরিষেবা দিতে এ বার কারখানার ভিতরেই চালু হয় ডাকঘর।
বন্ধ বাগানের কারখানায় মানুষের আনাগোনা নেই,তবে সেই চা কারখানার গেট আজও খোলা রয়েছে। কারণ ভেতরে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি ডাকঘর। তবে ডাকঘর থেকে থেকে সমস্ত রকমের পরিষেবা পেয়ে যাচ্ছেন বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা।
বন্য হাতি ও চিতাবাঘের আতঙ্ককে উপেক্ষা করেই ৯টা বাজলেই নিয়মিত খুলে যায় ডাকঘর। ডাকঘর খোলা থাকায় রীতিমতো খুশি বাগান শ্রমিকেরা। এতে তাঁদের সুবিধা হয়েছে বলেই জানান তাঁরা। কারণ আশেপাশে কোনও ডাকঘর নেই। সবচেয়ে কাছের ডাকঘর রয়েছে বানারহাটে। তার দূরত্ব অন্তত ১০ কিলোমিটার। আশপাশের এলাকা মিলিয়ে এই ডাকঘরের ৭০০ জন গ্রাহক রয়েছেন।
পোস্টমাস্টার বদলচন্দ্র দাস বলেন, “১০ বছর আগেও আমি এই ডাকঘরে কাজ করেছি। ৪ বছর ধরে নিয়মিত কাজ করে আসছি। রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের পাশাপাশি শালবনি ও সুরেন্দ্রনগর চা বাগানের বাসিন্দারাও এই ডাকঘরে আসেন।”
চা শ্রমিক তারেশ ওরাঁও জানান, তাঁরাও ডাকঘর থেকে অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। এ বার চা বাগান খোলার ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগী হলে আরও ভাল হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বানারহাট সাংগঠনিক ব্লকের কৃষাণ খেতমজদুর ব্লক সভাপতি রাজু গুরুং বলেন, “ডাকঘর খোলা রয়েছে এটা যেমন ভাল দিক। তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, এই বাগানটি খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া”।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy