প্রতীকী ছবি।
রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে। তারপর আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্বামী ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। পরে ওই তরুণী পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার একটি গ্রামের ঘটনা। শনিবার রাতে তরুণীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে। জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কাজিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে স্বামী ও বাকি দুই অভিযুক্তের হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ১৮ তারিখ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি ওই তরুণী। পরদিন পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তল্লাশি চালিয়েও তরুণীর হদিশ করতে পারেনি পুলিশ। দু’দিন আগে বাড়ি ফেরেন ওই তরুণী। শনিবার তাঁকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকেরা।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে রাস্তা থেকে মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে যায় মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মহম্মদ সোয়েল নামে এলাকার এক যুবক। তার সঙ্গে তরুণীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তাকে নিয়ে অন্য এক এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে তোলে ওই যুবক। সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। তরুণীর দাবি, তারপর কাজি ডেকে তাকে জোর করে বিয়ে করে সোয়েল। কিন্তু বিয়ের পর তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে সোয়েল ছাড়াও তার এক বন্ধু ও আত্মীয় তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাঁকে জোর করে আটকে রাখায় মুখ বুজে ছিলেন তিনি। তারপর সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসেন। অভিযুক্ত সোয়েলের এক আত্মীয়ের অবশ্য দাবি, ওদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্বেচ্ছায় ওরা বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের একমাস বাদে তরুণী কেন এমন অভিযোগ তুলছেন তা স্পষ্ট নয়। যদিও তরুণীর বাবার দাবি, ‘‘পরিচয় হলেই তো কারও সঙ্গে প্রেম হয়ে যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy