ফস্কা গেরো: আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার সীমানায় বৃহস্পতিবারেও অবাধে চলল মোটরবাইক ও বেশ কিছু যানবাহন। ছবি: নারায়ণ দে
এ যেন ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’!
করোনা সতর্কতায় জেলায় একাধিক নাকা পয়েন্ট রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও বিনা বাধায় ওই জায়গাগুলি পেরিয়ে জেলা থেকে বেরিয়ে গেলেন করোনায় আক্রান্ত এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। বুধবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনায় নাকা পয়েন্টে নজরদারিতে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের ভূমিকায় ফের একবার বড়সড় প্রশ্ন উঠল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে।
সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক দুই রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের নিয়ে সোমবার রাতে ত্রিপুরায় যান। তাঁর সঙ্গে আরও এক চালক ছিলেন। সেখানে তাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তাঁরা চেন্নাই রওনা হয়ে যান। এরই মধ্যে বুধবার রাতে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের দুই চালকের মধ্যে একজনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে।
অভিযোগ, ততক্ষণে অসম সীমানা পেরিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ পথ বিনা বাধায় অতিক্রম করে জলপাইগুড়ি জেলায় ঢুকে পড়েছেন তাঁরা। আলিপুরদুয়ার জেলার দীর্ঘ পথ পার করলেও তাঁদের কোথাও এতটুকু বাধার মুখে পড়তে হয়নি বলেও অভিযোগ। তাঁকে আটকাতে শেষপর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন ত্রিপুরার
প্রশাসনিক কর্তারা।
চেন্নাই থেকে করোনায় আক্রান্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এক বন্ধু জানান, ভাষা সমস্যার কারণে ওই চালকের কাছ থেকে কোনওরকমে মোবাইল নম্বর জোগাড় করে প্রশাসনের কর্তারা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। এরপর তিনিই তাঁর চালক-বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, তাঁরা ধূপগুড়িতে রয়েছেন।
পুলিশকে সেটা জানানো হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। চালকের ওই বন্ধু জানান, ত্রিপুরা থেকে রওনা হওয়ার সময় চালক একটি পেট্রোল পাম্পে অ্যাম্বুল্যান্সে তেল ভরেছিলেন। মাঝে এক জায়গায় খাওয়াদাওয়া সারেন। তারপর ধূপগুড়ি পর্যন্ত কেউ তাঁদের আটকায়নি।
লকডাউনের সত্ত্বেও পুলিশের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগে বেশ কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন নাকা পয়েন্ট দিয়ে যে কেউ অবাধে যাতায়াত করছে বলে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে বারবার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যার ঘটনার পর এই নজরদারি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রশ্ন উঠল। যদিও আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “পাকড়িগুড়িতে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছিল।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, “থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ মেলেনি জন্যই তাঁকে আটকানো হয়নি।”’m
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy