থইথই: হাঁটুজল পেরিয়েই ঢুকতে হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে। বালুরঘাটের ডাঙিতে। ছবি: অমিত মোহান্ত
প্রতি বছর বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ডুবে যায় স্কুল। এ বার বৈশাখ মাসের বৃষ্টিতেই জল ঢুকে গেল স্কুলে। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টির ফলে জল ঢুকে যায় ওই স্কুলের দু’টি শ্রেণিকক্ষে। হাঁটু জলে ডুবে যায় ওই দু’টি ঘর। এ দিন সকালে শিক্ষকেরা বালতি দিয়ে জমা জল সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ফের বৃষ্টি নামায় তাঁদের সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়। স্কুলের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ৪০ জন খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে দু’জন শিক্ষক ঠাঁই নেন স্কুলের আরেকটি শ্রেণিকক্ষে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল বসাক বলেন, ‘‘জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের।’’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহুবার লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে বলে জানান উৎপলবাবু। নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে আর্থিক বরাদ্দের জন্য অনেক আগেই স্কুলের তরফে সর্বশিক্ষা মিশন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
তার পরেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। অভিভাবকেরা জানান, কিছুক্ষণ ভারী বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে জল ঢুকে যায়। তাঁদের অভিযোগ, পরে জল নেমে গেলেও ওই কক্ষে ক্লাস করানোর পরিস্থিতি থাকে না।
স্কুল ভবনের পুরনো তিনটি ঘরের মধ্যে একটি শিক্ষকদের বসার জায়গা। বাকি দু’টিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারাদের ক্লাস হয়। ফি বছর জল জমার কারণে স্কুলের পুরনো ঘরটিতে ফাটল ধরেছে। দেওয়াল থেকে পলেস্তারাও খসে পড়েছে। এমন ঘরে ঘরে খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করানোয় ঝুঁকির আশঙ্কাও করছেন শিক্ষকেরা। বালুরঘাট সদর চক্রের অধীনে থাকা বহু পুরনো ওই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সংস্কার দাবি করে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বালুরঘাটের সদর চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক (এসআই) বন্দনা সরকার বলেন, ‘‘ওই স্কুলে গিয়ে সমস্যা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্কুলের সংস্কার নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি রাহুল চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy