Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

জেই ঠেকাতে কোচবিহার জুড়ে টিকা বড়দেরও

শিশুদের পর এ বার বড়দেরও জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক টিকাকরণের কাজ শুরু হল কোচবিহারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা ও তুফানগঞ্জ মহকুমায় চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচবিহার সদর, মাথাভাঙা ও মেখলিগঞ্জ মহকুমায় প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৪
Share: Save:

শিশুদের পর এ বার বড়দেরও জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক টিকাকরণের কাজ শুরু হল কোচবিহারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা ও তুফানগঞ্জ মহকুমায় চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচবিহার সদর, মাথাভাঙা ও মেখলিগঞ্জ মহকুমায় প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

মার্চ মাসের মধ্যে ১৫-৬৫ বছর বয়সের ১৯ লক্ষ বাসিন্দাকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক দেওয়ার ওই পরিকল্পনার জেরে দফতরের কর্মীদের ছুটি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলায়। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আগে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সীদের জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। এ বার আমাদের লক্ষ্য ১৫-৬৫ বছর বয়সীদের ওই প্রকল্পের আওতায় আনা। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই কোচবিহার সহ গোটা উত্তরবঙ্গে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কোচবিহার ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলায় এই রোগে আক্রান্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও জেলায় দু’জন বাসিন্দা জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হলে সমস্ত বাসিন্দাকে প্রতিষেধক দেওয়ার কথা। কিন্তু নানা মহলে দাবি উঠলেও সরবরাহ না থাকায় কোচবিহারে এত দিন বড়দের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ থমকে ছিল। সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে প্রথম দফায় টিকাকরণের জন্য সাড়ে ৬ লাখ ‘ভ্যাকসিন’ পৌঁছয়। তারপরে দিনহাটা ও তুফানগঞ্জ মহকুমায় টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একসঙ্গে বিপুল ভ্যাকসিন মজুতের পরিকাঠামো নেই। প্রথম দফার ভ্যাকসিন ফুরোলে ফের ওই ভ্যাকসিন আনা হবে। জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন আগ্রহী বাসিন্দারা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কোচবিহার জেলায় ২০১৬ সালে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে ৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালে মারা যান ১০ জন। আগের দু’বছরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়। গত বছর কোচবিহারের অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের ৬ লক্ষ শিশু-কিশোরকে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।

কিন্তু জেলায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ওই প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিষেধক দেওয়ায় ঝুঁকি নেওয়া হয় না।

অন্য বিষয়গুলি:

Japanese encephalitis Vaccination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE