একসঙ্গে: কিকা ও রিকা। বেঙ্গল সাফারি পার্কে। নিজস্ব চিত্র
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ক্যাপটিভ ব্রিডিং বা খাঁচায় রেখে প্রজনন সম্ভব হয়েছে রাজ্যে। একই পদ্ধতি কচ্ছপ ও রেড পান্ডার ক্ষেত্রেও সফল হয়েছে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে জন্ম নিয়েছে ৮টি রেড পান্ডা। এ বার সেগুলিকে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে ছাড়বে বন দফতর। এ কথা জানান বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বেঙ্গল সাফারি পার্কেই জন্ম নেওয়া রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ রিকা এবং কিকাকে এনক্লোজারে ছাড়া হল। সেখানেই এইকথা বলেন বনমন্ত্রী। এছাড়া বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের এলাকা বাড়িয়ে প্রায় ৫ হেক্টর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘বন দফতর বেশ কয়েকটি প্রজাতির সফল ক্যাপটিভ প্রজনন সম্ভব করেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে রেড পাণ্ডা ছাড়ার কাজ শুরু করব আমরা।’’ মন্ত্রী জানান, তার আগে রাজাভাতখাওয়ার কেন্দ্র থেকে শকুন এবং পাতলাখাওয়া থেকে বন্য পরিবেশে গণ্ডার ছাড়া হবে। বনকর্তারা জানান, দার্জিলিংয়ে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে জন্ম নেওয়া ৮টি পূর্ণ বয়স্ক রেড পাণ্ডাকে জাতীয় উদ্যানে ছাড়ার আগে তাদের বন্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিংহ বলেন, ‘‘এখন দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ৫০টির মত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির রেড পান্ডা রয়েছে বলে আমরা একটি সমীক্ষা করেছি। ডিএনএ টেস্ট করার পরেই ৮টি পান্ডা বাছা হয়েছে প্রথম পর্যায়ে ছাড়ার জন্য। পরের ধাপে কয়েকটিকে নেওড়াভ্যালিতে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ পুরো প্রকল্পে দেড় কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানেই একটি বড় (প্রায় ১২ হেক্টর এলাকা জুড়ে) খাঁচায় পান্ডাগুলির আচরণ লক্ষ্য করার পরে সেগুলিকে বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কেও রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ বিভান এবং শীলার প্রজননের জন্য এলাকা বাড়ানো হচ্ছে। প্রায় পাঁচ হেক্টর এলাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের জন্য। বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্তারা জানান, এর জন্য ২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। সেই কাজ আর কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হবে। চিতাবাঘ এবং রয়্যালবেঙ্গল বাঘের এলাকায় একটি নজরমিনার তৈরি হচ্ছে। এ দিন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘সাফারি পার্কে ময়ূর ও হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ বনকর্তারা জানান, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার থেকে চালু হয়েছে বন কন্ট্রোল রুম। শীঘ্রই তার নম্বর প্রচার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy