সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হবে বলে। ঠিকানা লেখা ছিল নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার একটি সংস্থার। স্রেফ সন্দেহের বশে বিষয়টি খোঁজ করতে গিয়ে একটি প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল ভক্তিনগর থানার নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার রাতে হানা দিয়ে এই ভুয়ো চাকরির প্রতারণা চক্র ধরলেন তাঁরা। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে বলেও জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।’’
গত ১৬ মে ও ২০ মে দুটি সংবাদপত্রে গ্রামীণ স্বাস্থ্য যোজনার কাজে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞাপনে লেখা হয়। তাতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেওয়া ছিল। তাতে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য সাড়ে তিনশো ও তফসিলি উপজাতির জন্য আড়াইশো টাকা করে অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়। জমার রসিদ স্ক্যান করে বায়োডাটার সঙ্গে একটি ই-মেল ঠিকানায় পাঠানোর কথা বলা ছিল। ইন্টারভিউ তারিখও মেলেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এই বিজ্ঞাপন পড়ে এনজেপি ফাঁড়ির ওসি সুবল ঘোষ নিজেই খোঁজ-খবর করতে থাকেন। তিনি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে দেওয়া তথ্য ঘেঁটে একটি নাম পান। সেই ব্যক্তি মূলত বিহারের বাসিন্দা হলেও এখানে এনজেপি এলাকাতেই থাকত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে জানায়, তার নামে হলেও অ্যাকাউন্টটি তার বন্ধু খুলেছিল। তার বাড়ি ভারতনগর এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সুবলবাবু বলেন, ‘‘এই সময় সরকার গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তা সত্ত্বেও এমন বিজ্ঞাপন দেখে আমার খটকা লাগে। এ ছাড়া সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা, সরকারি ওয়েবসাইট ছাড়া সাধারণ মেলে আবেদন পাঠানোর বিষয়গুলি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ করে বিষয়টি ধরা পড়ে।’’ অভিযুক্তরা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রে আরও কিছু লোক জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের ধরা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy