সৃজন: দেড় ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছে নবম শ্রেণির ছাত্র দীপঙ্কর পাল। শিলিগুড়ির রাঙাপানি এলাকায়। ছবি: স্বরূপ সরকার
স্মার্টফোন না থাকায় অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি নবম শ্রেণির ছাত্র দীপঙ্কর পাল। এলাকার কারও মোবাইলের সাহায্যও পায়নি বলে দাবি। নিজের ইচ্ছায় যতটা সম্ভব বাড়িতেই পড়েছে। ফলে অনেক কিছুই শিখতে পারেনি বলে দাবি পরিবারেরও। সেই থেকেই তার লক্ষ্য একটি স্মার্টফোন কেনার।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেদের কারখানায় প্রতিমা তৈরি শুরু করেছিল। তৈরি করেছে একই কাঠামোতে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে নিয়ে দেড় ফুটের একটি দুর্গা প্রতিমা। রাঙাপানির একটি ক্লাব তার এই প্রতিমা নেবে বলে জানিয়েছে দীপঙ্কর। তাতেই খুশি শিলিগুড়ি মহকুমার রাঙাপানির বাসিন্দা এই খুদে শিল্পী। রাঙাপানি হাইস্কুলের ছাত্র দীপঙ্কর জানায়, তিন হাজার টাকার মতো দাম পেতে পারে। তার সঙ্গে পরিবারের কিছু টাকা দিয়ে ফোন কিনবে। সে বলে, ‘‘প্রতিমা তৈরি করতে ভাল লাগে। অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ পড়ার কারণে বন্ধু, শিক্ষক কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পাচ্ছি না। সেই জন্য তাগিদ বেশি ছিল।’’
দীপঙ্করের বাবা দীপক পাল প্রতিমা শিল্পী। রাঙাপানি বাজারের কাছে প্রধান রাস্তার ধারে তাঁদের একটি থাকার ঘর। সেখানেই ছেলে, মেয়েকে নিয়ে ৪ জনের সংসার তাঁদের। সেই ঘরের একপাশে দীপকের ছোট কারখানা। লকডাউনে অন্য অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো, পার্বণেও সমারোহ হয়নি। ফলে গত প্রায় এক বছর প্রতিমার বরাতও তিনি পাননি। সঙ্কটে একটি মুদির দোকানে কাজ করেছিলেন কয়েক মাস। পুজোর আগে ফের প্রতিমা তৈরি শুরু করেছিলেন। ৪টি প্রতিমার বরাত পেয়েছেন। তিনি জানান, দুর্গা পুজো এলে খড়, মাটি, রঙ, তুলির সঙ্গে যুক্ত থাকতে না পারলে অস্বস্তি হয়।
দীপক জানান, ছোট থেকেই প্রতিমার তৈরির প্রতি ঝোঁক ছিল ছেলের। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে নতুন প্রজন্ম এই পেশায় যেতে চাইছে না। তবে ভাল শিল্পীর কদর রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মতো অভাবী ঘরের ছেলে, মেয়েদের অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা করানোটা খুব সমস্যার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy