তৃণমূল কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি গ্রামে। এ নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে অপহৃত হন আবদুল বারিক নামে কাতলামারির এক তৃণমূল কর্মী। আবদুল ওই এলাকার তৃণমূল নেতা উনসা হকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবদুলের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা আবদুল বাসিরের লোকজন তাঁকে অপহরণ করেছে। এ নিয়ে বাসির-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বাসিরকে। অপহৃতের দাদা শিস মহম্মদের অভিযোগ, ‘‘রাতে ওকে কোথায় তুলে নিয়ে গেল, জানি না। বাসিরের দল এই সব করছে। মাস ছয়েক আগে ওরা আমার দাদাকেও মারধর করেছিল। পুলিশও আমাদের সহযোগিতা করছে না। আমাদের পরিবারের সাত জনকে ওরা মারধর করেছে।’’
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। কাটমানির ভাগাভাগি নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল সর্বত্রই হচ্ছে।’’
তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ প্রশাসন এই সব দেখবে। দলকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের নোংরামি বরদাস্ত করা যাবে না। দলকে ভাঙিয়ে কেউ নোংরামি করলে প্রশাসন কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।’’