Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
TMC

ঘরবন্দি মিহির, প্রকাশ্যে ক্ষোভ দিনহাটাতেও

কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের ওই বিধায়ক শুক্রবার দলের জেলা কমিটি গঠনে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী

তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কোচবিহার ও দিনহাটা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৩:২১
Share: Save:

বিদ্রোহের ২৪ ঘণ্টাও হয়নি। রবিবার সকাল থকেই তিনি গৃহবন্দি। এবং মৌনী। এমনকি, কেউ যাতে যোগাযোগ না করতে পারে, সেজন্য ফোনও বন্ধ করে রেখেছেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

তবে এ দিন সকাল থেকে টিম পিকে’র সদস্যদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বিধায়কের বাড়ির সামনে। নানা ভাবে দৌত্যের চেষ্টাও করেছেন দলের কিছু জেলা নেতা। কিন্তু সকলেই ব্যর্থ হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। তবে সকাল থেকে দু-দু’বার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় যেতে পেরেছিলেন মিহিরের বাড়িতে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাড়ি থেকে তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধায়ক বাড়িতে নেই। দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের ওই বিধায়ক শুক্রবার দলের জেলা কমিটি গঠনে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তারপর থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে জেলা জুড়ে একাধিক নেতা-নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। রবিবার দিনহাটা-২ ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন।

এ দিন দিনহাটা-২ ব্লকের নয়ারহাটে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে তারাই নতুন ব্লক কমিটিতে স্থান পেয়েছে। মিহির গোস্বামী দলের প্রবীণ নেতা। কমিটি গঠন নিয়ে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা যথার্থ।” হুমায়ুনের অভিযোগ, জেলা নেতৃত্ব যে ভাবে বিভিন্ন ব্লক কমিটি গঠন করেছে তাতে ১৯৯৮ সাল থেকে যারা দল করছেন, তাঁদের অনেককেই বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যাঁদের ব্লক কমিটিতে আনা হয়েছে তাঁরা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাত করেছেন।

তাঁর আরও অভিযোগ, ব্লক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আগে জেলার ১৮টি সাংগঠনিক ব্লক ছিল। তার মধ্যে ৪ জন সংখ্যালঘু সভাপতি ছিলেন। এ বারে নতুন কমিটিতে ২২টি সাংগঠনিক ব্লক হয়েছে। একটি ব্লকেও সভাপতির দায়িত্বে সংখ্যালঘু রাখা হয়নি। তার পরেও দলের নির্দেশ মেনেই চলব।”

কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘যদি কোনও অভিযোগ থাকে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাক। তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম বলেন, “বিধায়ক আমাদের অভিভাবক। দলনেত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন তিনি। আমি দু’বার তাঁর বাড়িতে গিয়েছি, দেখা পাইনি। খুব শীঘ্রই দেখা পাব বলে আশা করছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy