সকাশে: জিতেন দাসের বাড়িতে দুলাল দেবনাথ। ছবি: সন্দীপ পাল
সিপিএম নেতার দুয়ারে তৃণমূল নেতা। প্রাক্তন সাংসদ প্রবীণ সিপিএম নেতা দরজা খুলে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে বাড়ির অফিসঘরে বসালেন। তৃণমূল নেতা পরামর্শ চাইলেন, কী ভাবে দলের কৃষক সংগঠনের জেলা সম্মেলন সফল করা যায়। সিপিএম নেতা দিলেন শৃঙখলার পরামর্শ। বললেন, কৃষকদের দাবিদাওয়ার কথা শুনতে।
শুক্রবার জলপাইগুড়িতে দেখা গেল, এমনই ছবি। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ কৃষক এবং পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের পরামর্শ চাইতে গেলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা কৃষক-নেতা জিতেন দাসের বাড়িতে।
তৃণমূল নেতাকে প্রবীণ সিপিএম নেতার পরামর্শ, সম্মেলনে যেন শৃঙ্খলা বজায় থাকে। কৃষকদের সমস্যা বোঝার জন্য এমন সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান জিতেনবাবু। সম্মেলনে কৃষকদের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ যেন থাকে, সে দিকেও নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি। সূত্রের খবর, জিতেন দাস এ দিন দুলাল দেবনাথকে দলের ‘দুষ্টু’ লোকেদের বার করার পরামর্শ দেন। দুলাল দেবনাথ ‘দুষ্টু’ লোকেদের নাম জানতে চান।
দুলাল পরে বলেন, ‘‘এর আগে, কৃষকসভার সম্মেলনে জিতেনবাবু আমার কাছে চাঁদা সংক্রান্ত সহযোগিতা চেয়েছিলেন। সাধ্যমতো করেছি। এ বার আমাদের সম্মেলনের আগে, জিতেনবাবুর পরামর্শ চাইতে গিয়েছিলাম।’’
এক দলের কৃষক-নেতার আরেক দলের নেতার পরামর্শ চাইতে যাওয়াকে সৌজন্য হিসাবেই দেখছেন দুই দলের নেতারা। তবে এ প্রশ্নও উঠেছে যে, বিজেপির কৃষক সংগঠনের কাছেও কি পরামর্শ চাইতে যাবেন তৃণমূল নেতারা? দুলাল সে ব্যাপারে মন্তব্য না করে বলেন, ‘‘জিতেন দাস প্রবীণ কৃষক-নেতা। উনি জেলা-রাজনীতিতে অনন্য। তাই ওঁর কাছে গিয়েছিলাম।’’ বিজেপির কৃষক মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল-সিপিএমের বোঝাপড়া বেশ স্পষ্ট। দুলালবাবু ব্যক্তিগত ভাবে আমার সঙ্গে দেখা করলে নিশ্চয়ই কথা বলব। তবে দলগত ভাবে এলে কথা বলা সম্ভব নয়। কারণ, তৃণমূলের জন্যই এ রাজ্যে কৃষকেরা কষ্টে আছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy