রঞ্জন শীলশর্মা।
নিজের স্কুলের শিক্ষিকাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগের তির পুরসভার বরো চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীলশর্মার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ ওঠার পর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা রঞ্জনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু দার্জিলিং জেলার তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আইন আইনের পথেই চলবে। এ দিন মাল্লাগুড়িতে সরকারি লজে গৌতমবাবুর সঙ্গে দেখা করেন রঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে রঞ্জনবাবুকে দলের তরফ থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হবে কিনা, সে প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি গৌতম। তবে তৃণমূলের মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত এ দিন ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করে তাঁর পাশের থাকার আশ্বাস দেন।
এ দিনই রঞ্জনবাবুর কাউন্সিলর পদ বাতিলের দাবিতে পুরসভায় স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি। পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে মৌখিক অনুরোধ করেছেন রঞ্জন। গৌতম দেব বলেন, ‘‘অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত হবে। এ দিন রঞ্জন আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা না করে কিছু মন্তব্য করতে পারব না।’’ রঞ্জন-কাণ্ডে হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। এ দিন সকালে বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে শিলিগুড়ি পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দিয়ে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জনবাবুর অপসারণ চাওয়া হয়েছে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিজের স্কুলের শিক্ষিকাকে এরকম আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ওঠে, তাঁর পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। অবিলম্বে তাঁর অপসারণ চাই।’’
নেতাজি জিএসএফপি স্কুলের এক শিক্ষিকাকে দীর্ঘদিন থেকেই আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই স্কুলেরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে। এখন ওই শিক্ষিকা শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি।
এ দিন নার্সিংহোমে তার সঙ্গে দেখা করে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘স্কুলের মধ্যে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর। দলের কাছে বিষয়টি জানাব।’’ মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে হেতু স্কুলের ভিতরের ঘটনা, আমরা ওই সার্কেলের এসআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রঞ্জনবাবু পাল্টা দাবি করেন, পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পঠনপাঠন এবং আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্ট করতে চান ওই শিক্ষিকাই। তা করতে না দেওয়াতেই এই মিথ্যে অভিযোগ। এ দিন রঞ্জন বলেন, ‘‘আমি জেলা সভাপতিকে বলেছি, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। ডিআইকেও চিঠি দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy