কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বাম বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসকের কাছে ১৬ জন সদস্য লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ৩২ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৮টি, সিপিএম ১১টি এবং আরএসপি ৬টি ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ৭টি। বামেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড গঠন করে। পরে আরএসপির ৩ ও সিপিএমের ৬ জন দলবদল করে তৃণমূলে যান। ফলে, বামেরা ৮, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ৭ ও তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টি। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক সমীরণ মন্ডল বলেন, “কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ জন তৃণমূল সদস্যের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে পেশ করেছে। নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।” এদিন অনাস্থা পেশের সময় তৃণমূলের সাংসদ দশরথ তিরকে ও তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সৌরভ বাবু বলেন, “বামেরা কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা অনাস্থা এনেছেন। আমাদের দাবি দ্রুত বৈঠক করে নতুন বোর্ড গঠন করা হোক।”
পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তম কুমার দাসের অভিযোগ, বাম বোর্ড কুমারগ্রামে উন্নয়ন মূলক কাজ না-করে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল। সিপিএম থেকে তৃণমূল যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদসছ মনোরঞ্জন রায় বলেন, “আমি কামাক্ষাগুড়ি এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। গত এক বছরে এলাকায় কোনও কাজ করেনি বাম বোর্ড। তা ছাড়া দরপত্র ডাকাতেই দুর্নীতি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বাধ্য হয়ে আমারা কয়েকজন বাম সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি শান্তিমায়া নার্জিনারির দাবি, যে অভিযোগ হয়েছে তা ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকাল ৫ বছরের। সুতরাং এক বছরে সমস্ত এলাকার কাজ করা সম্ভব নয়। এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে। তা ছাড়া দরপত্র ডাকতে হল নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। এতে সময় লাগে।” সিপিএমের আলিপুরদুয়ার জেলার আহ্বায়ক কৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এটা তৃণমূলকেই শোভা পায়। ওরা নির্বাচনে মানুষের দেওয়া রায়কে মানছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy