৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্স কমানোর দাবিতে দু’দিন বাস ধর্মঘট ডাকল বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। মালদহ, দুই দিনাজপুর এবং শিলিগুড়ির একটি বাস মালিকদের সংগঠন মিলে ওই ধর্মঘট ডেকেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে চলাচলকারী সমস্ত বেসরকারি বাস ওই ধর্মঘটে সামিল হবে। পরের দিন শুধু মালদহ জেলায় সমস্ত বেসরকারি বাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
দু’দিনে সমস্যা না মিটলে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট করার হুমকি দিয়েছে বাস সংগঠনগুলি। এখানেই বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন জেলাগুলির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। সেসময় বাস ধর্মঘট চললে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত নিয়ে বিপুল সমস্যায় পড়বে প়ড়ুয়া ও অভিভাবকেরা।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর থেকে মালদহ জেলার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের গাজোল ও ১৮ মাইলে দু’টি টোল প্লাজায় ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। টোল ট্যাক্স কমানোর দাবিতে গত বছরের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ওই দুই টোল প্লাজা দিয়ে সমস্ত বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিল মালদহের বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চরম বিপাকে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তার পরে আলোচনার মাধ্যমে টোল ট্যাক্স কমানো হয়েছিল। টোল ট্যাক্স কমানোর ব্যাপারে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে সোমবার মালদহে দুই দিনাজপুর, মালদহ জেলা ও শিলিগুড়ির ইন্টার রিজিওনাল বাস মালিকদের সংগঠন মিলে একটি বৈঠক করে। সেখানে বাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার মালদহের বাস মালিক সংগঠনের কর্তা কাজল রায় দাবি করেন, ‘‘বড় যাত্রীবাহী বাস থেকে গাজোল টোল প্লাজায় ১১০ টাকা ও ১৮ মাইল প্লাজায় ৯০ টাকা নেওয়া হতো। কিন্তু জানুয়ারি থেকে কর্তৃপক্ষ ফের বাস পিছু গাজোলে ২২৫ টাকা ও ১৮ মাইলে ১৮৫ টাকা করে আদায় করছে।’’ যদিও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মালদহের প্রজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশ হাংসারিয়া বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশনামা অনুযায়ী টোল ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে।’’
বাস সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দু’টি টোল প্লাজা দিয়ে প্রতিদিন ১৭৬টি বাস চলে। অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স দিতে গিয়ে বাস চালিয়ে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কাজলবাবু। ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স। মালদহের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বাস মালিক ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy