নারায়ণচন্দ্র সরকার তখন উত্তর দিনাজপুরের ডিআই। সেই সময়ে সে জেলার সাহেবঘাট এনএন হাইস্কুলে ‘রোস্টার’ ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সদ্য সাসপেন্ড নারায়ণবাবু অবশ্য বলেছেন, এমন কিছু তাঁর জানা নেই।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যত কাণ্ড এখন উত্তর দিনাজপুরে। এই জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলে গুলিচালনা এবং তাতে দুই যুবকের মৃত্যুর পরে তদন্তে উঠে আসছে নিয়োগ সংক্রান্ত নানা অভিযোগ। সাহেবঘাট স্কুলের ঘটনা সেই তালিকায় আরও একটি। সূত্রের খবর, অভিযোগ উঠেছে এই স্কুলে রোস্টার ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ হয়।
শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় তথ্য যেখানে থাকে, তাকেই রোস্টার বলা হয়। স্কুল সূত্রে দাবি, কোনও স্কুল নতুন নিয়োগের আবেদন করতে গেলে তা রোস্টারে তুলতেই হবে। সাহেবঘাট এনএন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াজেদ প্রকারান্তরে অভিযোগটি স্বীকার করে নিয়েছেন।
২০১৬-র ঘটনা। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সাহেবঘাট স্কুলের নিয়োগ আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তা জেলার স্কুলগুলোর শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় কী ভাবে স্থান পায়, তা বেশির ভাগই জানেন না। স্কুলেরই এক শিক্ষক এবং স্কুল পরিদর্শকের দফতরের এক কর্মীর আঁতাঁতের অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষক স্কুল পরিদর্শকের দফতরের ওই কর্মীর মেয়েকে পড়াতেন। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘নতুন শিক্ষকের জন্য যখন আবেদন করতে যাই, তখন প্রথমে জানানো হয় ‘রোস্টার’ ঠিক নেই। পরে ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে বলে সম্প্রতি স্কুলে যোগাযোগ করা হয়।’’ তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘রোস্টারে এমন গোলমাল হয়েছে বলে জানা নেই। রোস্টার তৈরিতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যুক্ত থাকেন পরিচালন সমিতি, ঊর্ধ্বতন বিভাগও। অনেক সময় রোস্টার তৈরিতে ভুল থাকে। ডেটা এন্টিতেও ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কী হয়েছে, তা সে সময় করা নোট শিট দেখলেই বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy