চলতি মাসের ৯ তারিখে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনটি লেঙ্গুরকে উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। তীর্থযাত্রীদের একটি বাস অসম থেকে শিলিগুড়িতে আসছিল। সেই বাসেই তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির লেঙ্গুরগুলি। বন দফতর সূত্রে খবর, তিনটি লেঙ্গুরের মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। অন্য একটি ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়া এবং একটি দক্ষিণ আফ্রিকার।
চলতি মাসের ৯ তারিখে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনটি লেঙ্গুরকে উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। নিজস্ব চিত্র
তারা কী খাচ্ছে? কী পছন্দ করছে বা কেমন ব্যবহার করছে? সবটাই নজরে রাখা হচ্ছে। নজর রাখছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্মীরা। যদি এই পার্কের পরিবেশে উদ্ধার হওয়া তিন লেঙ্গুরের পছন্দ হয়, তবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে সেখানে। সাফারি পার্কে বেড়াতে গিয়ে তাদের দেখাও পাবেন পর্যটকরা।
চলতি মাসের ৯ তারিখে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনটি লেঙ্গুরকে উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। তীর্থযাত্রীদের একটি বাস অসম থেকে শিলিগুড়িতে আসছিল। সেই বাসেই তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির লেঙ্গুরগুলি। বন দফতর সূত্রে খবর, তিনটি লেঙ্গুরের মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। অন্য একটি ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়া এবং একটি দক্ষিণ আফ্রিকার।
উদ্ধার করে তাদের তুলে দেওয়া হয় বনদফতরের হাতে। এর পর তাদের ঠাঁই হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সাময়িক ভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসায় সুস্থও হয়ে ওঠে। আপাতত সুস্থই রয়েছে তিন জনে।
বেঙ্গল সাফারির অধিকর্তা ডি শেরপা বলেন, ‘‘পার্কে পর্যটকদের জন্য অবশ্যই ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে ওদের আচার-আচরণ বা শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত আগামী কয়েক দিন ওরা কঠোর পর্যবেক্ষণেই থাকবে। সাফারি পার্কের অন্য প্রাণীদের সঙ্গে তারা কেমন ব্যবহার করে তা-ও দেখতে হবে। আবহাওয়ার সঙ্গে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারবে নিজেদের, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’
এর আগে পাচার করার সময় উদ্ধার হয় একাধিক ক্যাঙারু। তার পর লেঙ্গুর। শুল্ক এবং বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে পাচারের আগেই আটক করা হচ্ছে এই সব প্রাণীদের। কোথা থেকে এনে এই প্রাণীদের পাচার করা হচ্ছিল? বন দফতরের অনুমান, বড় কোনও চিড়িয়াখানা থেকে এনেই তাদের পাচার করা হচ্ছে। সেই রহস্য সমাধানই করতে চায় বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy