ফাইল চিত্র।
রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রথযাত্রা উৎসবের বাজেট বাড়াল কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।
গতবার ওই উৎসবের বাজেট আর্থিক অনটনের জন্য কমিয়ে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা করা হয়েছিল। এ নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়। এ বার অবশ্য ওই বাজেটের অঙ্ক বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪ হাজার টাকার বেশি।
দেবোত্তর বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ২৫ জুন রথযাত্রা উৎসব শুরু হচ্ছে। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক তথা দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য অরুন্ধতী দে বলেন, “প্রাচীন রীতি মেনে রথযাত্রা উৎসব আয়োজনের ব্যাপারে সমস্ত প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে।’’ ২৫ জুন বিকেল পাঁচটায় কোচবিহার মদনমোহন মন্দির থেকে রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হবে।
রথের দড়িতে প্রথম টান দেবেন রাজ পরিবারের দুয়ারবক্সি অমিয় দেববক্সী। ওই রথে সওয়ার হয়ে মদনমোহনের বড় বিগ্রহ, ভক্তদের কাছে ‘বড়বাবা’ নামে পরিচিত মদনমোহন দেব গুঞ্জবাড়িতে মাসির বাড়ি পৌঁছবেন। শহরের বিশ্বসিংহ রোড, এন এন রোড, কেশব রোড পরিক্রমা করে সন্ধ্যা নাগাদ ওই রথ পৌঁছবে। রাস্তাজুড়ে থাকবে কড়া পুলিশ প্রহরা।
গুঞ্জবাড়িতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের পরিকল্পনা হয়েছে। সেখানে এক সপ্তাহব্যাপী রথের মেলার আসরও বসবে। দোকানপাট বসানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
মদনমোহন দেবের (বড়বাবা) বিগ্রহ মূল মন্দিরে উল্টো রথের দিন ২ জুলাই ফিরিয়ে আনা হবে। ওই কয়েকদিন মূল মন্দিরে সিংহাসনে থাকবে ‘ছোটবাবা’ ( মদনমোহন দেবের ছোট বিগ্রহ ওই মানেই পরিচিত)।
রথযাত্রা উপলক্ষে কোচবিহার ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, নবদ্বীপ থেকে কীর্তনের দল আনা হচ্ছে। রথ রঙ করা, মেরামতের পরিকল্পনা হয়েছে। ইতিমধ্যে গুঞ্জবাড়ির মন্দিরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভোগঘরটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বারের উৎসবের বাজেট বাড়ায় খুশি বাসিন্দারা। দেবোত্তর কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী জানান, রথযাত্রার সঙ্গে বাসিন্দাদের আবেগও জড়িয়ে আছে। ইতিহাস গবেষক দেবব্রত চাকি বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে বাজেট বৃদ্ধি দরকার ছিল।” দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা, ২০১৫ সালে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার বাজেট ধরা হয়। তারপর এ বার ফের ওই বাজেটের অঙ্ক দুই লক্ষের বেশি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy