আহত ছাত্র।
নার্সিংহোমের শয্যায় শুয়ে জখম ছাত্র ঋত্বিক কুমার সিংহ তাঁর বন্ধু ঋষভ আর্য ভারতীর খোঁজ করছে। বাবা গোপাল কুমার সিংহ, মা পূণম দেবী তাঁর কাছে গেলেই ঋষভ কোথায়, ও কেমন আছে জানতে চাইছে। তাকে জানানো হয়েছে ঋষভকে চিকিৎসার প্রয়োজনে অন্যত্র নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির উপকন্ঠে ফুলবাড়ির নারায়ণ স্কুলের তিন তলার জানলা দিয়ে পড়ে নবম শ্রেণির ছাত্র ঋষভের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় জখম হয়েছে ঋত্বিক। চিকিৎসক জানিয়েছেন ভেঙে যাওয়া বাঁ হাত স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। দুই মাস বিছানাতেই বিশ্রাম নিতে হবে। কোমরে এবং ডান হাতের কব্জিতেও চোট রয়েছে। তবে নার্সিংহোমে থাকার দরকার নেই। বাড়িতেই থাকতে পারে বলে এদিন বিকেলে চিকিৎসক ছুটি দিয়েছেন। ঋত্বিককে নিয়ে আসা হয়েছে বাবা সিআরপিএফ-এ কাজের সুবাদে খাওয়াখালিতে যেখানে কোয়ার্টারে থাকেন। আট দিন পর তাকে চিকিৎসকের কাছে ফের দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঋত্বিকের বাবা বলেন, ‘‘এদিন বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময়ও ঋষভের কথা জানতে চাইছিল ঋত্বিক। বারবার বন্ধু কোথায়, কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছে। সত্যিটা একবারে বলতেও পারছি না। একটু সেরে উঠলে জানাব।এখন বলেছি অন্য নার্সিংহোমে ওকে নিয়ে যেতে হয়েছে।’’ পূর্ণিয়ায় ঋষভের বাড়িতে শোকের ছায়া। পরিবার সূত্রের খবর, এক সপ্তাহ পর শ্রাদ্ধের কাজ হবে। তবে স্কুলের তরফে এখনও তাঁদের বাড়িতে শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কেউ যাননি বলে অভিযোগ। স্কুলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সত্যেন্দ্র যাদবের দাবি, মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের এক কর্মী সঙ্গে যান।
এদিকে ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে চিঠি দিল শিলিগুড়ি অভিভাবক মঞ্চ। চিঠিতে গত ৮ জুলাই ঘটনার বিষয়টি তুলে ধরে মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্য জানান, যে জানলা দিয়ে পড়ে গিয়েছে ওই দুই ছাত্র তাতে কোনও গ্রিল না থাকাটা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোয় পরিকাঠামোর কী পরিস্থিতি এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করছে বলে তাঁর দাবি। স্কুলের পড়ুয়াদের নিরাপদ রাখা এবং নিরাপত্তা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ নেন জেলা প্রশাসনের কাছে সেই দাবি তুলেছে অভিভাবক মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল চলার সময় অনেক ক্ষেত্রে মেরামতির কাজ হচ্ছে। বাইরের শ্রমিকেরা অবাধে স্কুলে ঢুকছে। তাতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। এর আগেও একাধিকবার পড়ুয়াদের নিরাপত্তা এবং সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy