তদন্ত: ধ্বংস হয়ে যাওয়া টোটোর নমুনা সংগ্রহ করছেন রাজ্যের ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
বিস্ফোরণের চার দিন পরে বিধ্বস্ত টোটো থেকে নমুনা সংগ্রহ করল রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। রবিবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ওই দলের প্রতিনিধিরা। ব্যাটারি থেকেই চলন্ত টোটোয় বিস্ফোরণ হতে পাড়ে বলে প্রাথমিক অনুমান তাঁদেরও।
এ দিন সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ ইংরেজবাজার শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় পৌঁছন রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলের দুই প্রতিনিধি। ঘটনাস্থলে হাজির হন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া টোটোর নমুনা সংগ্রহের কাজ। চালকের আসনের নীচে থাকা দুটি ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারি দুটির নুমনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা তরলের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। টোটোর ছবি তুলে রাখেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিরা।
তদন্তকারীদের দাবি, “বিস্ফোরণে টোটোটি ধনুকের মতো বেঁকে গিয়েছে। টোটোর মাঝের অংশটি একেবারে বসে গিয়েছে। ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণ হলে তার অভিঘাত কত হতে পাড়ে তা দেখার জন্য দুটি অন্য টোটো পরীক্ষা করা হয়েছে।”
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় চলন্ত টোটো বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান কালিয়াচকের সুজাপুরের চালক মহম্মদ ইলিয়াস শেখ। তাঁর মাথা ছিটকে যায় ১০ মিটার দূরে। হাতের অংশ ছিটকে গিয়ে পড়ে ১৫ ফুট দূরে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে এলাকার পাকা বাড়িও। টোটোর ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের ব্যাটারি বিস্ফোরণের মতেই প্রাথমিক ভাবে সায় দিয়েছে ফরেন্সিক দল।
যদিও বিস্ফোরণের তীব্রতা এবং চালকের দেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ার ঘটনা দেখে ব্যাটারি তত্ব মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, শহরে হাজার হাজার টোটো চলাচল করে। বহু মানুষের বাড়িতেই টোটোয় চার্জ দেওয়া হয়। এ ভাবে তাতে বিস্ফোরণ হয়ে চালকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে তা নজিরবিহীন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে দুটো ব্যাটারি ফেটে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। ব্যাটারিতে লোহার পাতের মতো অংশ থাকে। যা স্প্লিন্টারের মতো চালকের শরীরে আঘাত করতে পারে। তাতেই চালকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। যদিও ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, “ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। বিস্ফোরণ কেন ঘটেছে তা রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্ট হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy