Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Fake Note

জাল নোটে কি জঙ্গি যোগ, শুরু তদন্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়ি থেকে জাল নোট ও সোনার বিস্কুট-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও এসএএসবি। ধৃতদের মধ্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও অসমের বাসিন্দা রয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৮
Share: Save:

একসঙ্গে কোটি টাকার জাল নোট দেখে অবাক হয়েছিলেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা। জঙ্গি যোগের সন্দেহের কথাও ঘুরছিল মুখে মুখে। তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার জেলার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারাও। তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানান, যে জাল নোট উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে আসল টাকার যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। তবে অনেক টাকার মধ্যে সেগুলি অনায়াসে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব। সেই টাকা কোথা থেকে, কী ভাবে ধৃতদের হাতে এল, জানার চেষ্টা চলছে। বিশেষত অসমে একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। ধৃতদের মধ্যেও কয়েকজন অসমের বাসিন্দা। ওই টাকাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অসমের পথে। পাশাপাশি, দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদ থেকেও জঙ্গি সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। কোচবিহার জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সমস্ত রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়ি থেকে জাল নোট ও সোনার বিস্কুট-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও এসএএসবি। ধৃতদের মধ্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও অসমের বাসিন্দা রয়েছে। তাদের কাছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার জাল নোট মেলে। জাল নোটের মধ্যে দু’হাজার ও পাঁচশোর নোট ছিল। মেলে ১৭টি সোনার বিস্কুটও। ওই টাকা ও সোনার বিস্কুট একটি ছোট গাড়িতে ফালাকাটার দিক থেকে অসমের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িটিকে দু’টি বাইক পথ দেখাচ্ছিল। ছক কষে যে টাকা ও সোনার বিস্কুট অসমে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, তা গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু কার হাত থেকে সেগুলি কার হাতে পৌঁছে দেওয়ার

চেষ্টা হচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই নাম পেলেই সমস্তটা জানা যাবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এর মধ্যে একটি বড় চক্র রয়েছে। কারা রয়েছে জানতে পারলেই সব জানা সম্ভব হবে।”

কোচবিহার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা। খোলা সীমান্ত দিয়ে চোরা কারবারের অভিযোগ রয়েছে বরাবর। আবার কোচবিহারের সঙ্গেই রয়েছে অসম সীমানা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম তথা উত্তরপূর্ব ভারতে একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। তারা এই রুট ব্যবহার করে চলাচল করবে, তা অসম্ভবের কিছু নয়। সব কথা মাথায় রেখেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy