Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Municipal Election 2020

তৃণমূলের ‘প্রচার পথ’ নির্মাণে পিকে-র টিম

সোমবার জলপাইগুড়ির ২৫টি ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি, কাউন্সলির এবং বাছাই করা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পিকে টিমের প্রতিনিধিরা।

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৭
Share: Save:

ওয়ার্ডে তারকা প্রচারক এলে চা খাওয়াতে কোন দোকানে নিয়ে যাবেন? তিনি কোন মন্দিরে পুজো দেবেন? ওয়ার্ডে অরাজনৈতিক কিন্তু জনসংযোগ আছে এমন কোন ব্যক্তির বাড়িতে দলের তারকা প্রচারকে খাওয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে?

ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এবং নেতাদের ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকে এমনই সব তথ্য জানতে চাইল টিম পিকে। সোমবার জলপাইগুড়ির ২৫টি ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি, কাউন্সলির এবং বাছাই করা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পিকে টিমের প্রতিনিধিরা। পুরভোট এখনও ঘোষণা হয়নি, প্রার্থীও ঠিক হয়নি। যদিও আগেভাগে তৃণমূলের ‘প্রচার পথ’ তৈরি রাখছে পিকে-র টিম।

জেলা তৃণমূল অফিসে পিকে-র টিম বৈঠক ডাকায় দলের নেতাদের অনেকেই ভেবেছিলাম, পুরভোটের দায়িত্ব বণ্টন অথবা কমিটি গড়া হবে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে সে সব নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে সূত্রের খবর। ভোট সম্পর্কেও কিছু বলেননি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের দুই প্রতিনিধি। শুধু তথ্য জেনেছেন নেতাদের কাছ থেকে।

সূত্রের খবর, পিকে-র টিম তৃণমূল কর্মীদের প্রথম প্রশ্ন করেন, কোনও ভিভিআইপি আপনার ওয়ার্ডে এলে কোন জায়গা থেকে প্রচার শুরু হবে? কিছুক্ষণ হাঁটার পরে ভিভিআইপিকে চা খাওয়ানো হবে। চা খাওয়ানোর জন্য কোন দোকানে নিয়ে যাওয়া হবে? দুপরে কোথায় খাওয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে তাও জানাতে বলা হয়েছে। পিকে-র টিম সূচি অনুযায়ী, ভিভিআইপি প্রচারকরা জলপাইগুড়িতে পাঁচদিন থাকবেন। এক-এক দিন পাঁচটি করে ওয়ার্ডে যাবেন। পাঁচদিনে জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে প্রচার হয়ে যাবে।

এ দিনের বৈঠক নিয়ে দলের কাউন্সিলর বা কর্মীরা সংবাদমাধ্যমে কোনও মুখ খোলেননি। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “ওয়ার্ডের নানা তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সব দলের রুটিন অঙ্গ। নেতৃত্বের নির্দেশেই সব পদক্ষেপ হচ্ছে।” তৃণমূল নেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, কোনও ভিভিআইপি প্রচারে এলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তা আগে থেকেই ছক কষা হয়। তবে এমন খঁুটিনাটি পরিকল্পনা এই প্রথম। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “প্রচারের মাঝে নেতাদের চা খেতে ইচ্ছে হলে কোনও বিলাসবহুল দোকানে বা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হত। এখন তা হবে না। যেই দোকানে বেশি ভিড় হয়, সাধারণ বাসিন্দাদের যাতায়াত থাকে তেমন দোকানে নিয়ে যেতে হবে।”

প্রতিটি ওয়ার্ডের ডিজিটাল থ্রি ডি ম্যাপও চেয়েছেন পিকে-র টিম। যাতে সহজেই এক ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্য ওয়ার্ডের পার্থক্য করা যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy