শিক্ষক নিয়োগ কেন্দ্র করে একসময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দাড়িভিট হাই স্কুল। শিক্ষকদের যোগ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা থেকে শুরু হয় গণ্ডগোল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই যুবকের। যদিও পরবর্তীতে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছিল সংস্কৃত ও উর্দু ভাষার ওই দুই শিক্ষককে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গেল ওই দুই শিক্ষকেরও।
সেই খবর পেতেই খুশি দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত দু’জনের পরিবারের সদস্যেরা। নিহতদের পরিবারের দাবি, ওরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়ে জোর করে যোগ দিতে এসেছিল। এমন পরিণামই হওয়ার কথা। সূত্রে খবর, ওই দুই শিক্ষক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের রায় আরও দুই শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। দাড়িভিট হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শুভময় রায় বলেন, ‘‘ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ফলে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমার স্কুলের দু’জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। মাত্র ৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে পঠন-পাঠন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’’
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দাড়িভিট হাই স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, উর্দু ও সংস্কৃতের শিক্ষক নয়, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের। সেই ঘটনাকে ঘিরে প্রথমে স্কুল চত্বরে ও পরে স্কুল সংলগ্ন রাস্তাতেও গন্ডগোল ঘটে। গুলিতে মৃত্যু হয় ওই স্কুলেরই প্রাক্তন দুই ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের। কেটেছে কয়েক বছর। দাড়িভিটের তদন্তের জন্য এনআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। দাড়িভিট নিয়ে তরজা তুঙ্গে। দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত তাপসের মা মঞ্জু বর্মন বলেন, ‘‘অন্যকে কাঁদিয়ে সুখী হওয়া যায় না। জাল করে ওরা চাকরি পেয়ে যোগ দিতে এসে আমাদের দুই পরিবারে দুই সন্তানকে কেড়ে নিয়েছিল। ভগবান তার শাস্তি দিয়েছেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)