ওসির বিরুদ্ধে টুইট শুভেন্দুর। — ফাইল চিত্র।
মাদারিহাট থানার ওসি গৌরব হাঁসদার বিরুদ্ধে তৃণমূলের বুথ-সভায় গিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ তুলে টুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে ওসির ছবি পোস্ট করে তাঁকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির সঙ্গেও তুলনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। যে ঘটনায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে আলিপুরদুয়ারে। জেলা পুলিশের কর্তারা অবশ্য শুভেন্দুর অভিযোগ মানেননি। তাঁদের দাবি, হান্টাপাড়ায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়া মাদারিহাটের ওসির ছবি পোস্ট করে টুইটে ‘মিথ্যা’ কথা লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একই দাবি তৃণমূলেরও।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা টুইটে তিনটি ছবি ও একটি ভিডিয়ো (এই ছবি ও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, ‘‘মাদারহাটের ওসি গৌরব হাঁসদাকে হান্টাপাড়ায় তৃণমূলের বুথ স্তরের সভায় বক্তৃতা করতে দেখা যায়। মনে হচ্ছে, তিনি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন।” সেই সঙ্গে শুভেন্দুর সংযোজন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উপর নির্ভর করছে!” টুইটে শুভেন্দুর পোস্টে দেখা যাচ্ছে, একটি জায়গায় বেশ কয়েকজনের মাঝে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে মাদারিহাটের ওসি। সেখানে তাঁকে বক্তৃতা দিতেও দেখা যাচ্ছে। আশপাশে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের কয়েকটি পতাকা।
ওসি গৌরব অবশ্য বলেন, “মঙ্গলবার হান্টাপাড়ায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের শিলান্যাসের সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেই কাজে যাতে বাধা না আসে, বক্তব্যে তা বলি। সেখানে তৃণমূলের পতাকা দেখিনি।” মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের গোরে কামী বলেন, “মাদারিহাটেরআরও অনেক জায়গার সঙ্গে হান্টাপাড়ার ওই এলাকাতেও আগে থেকেই তৃণমূলের পতাকা লাগানো ছিল। তবে মঙ্গলবার সেখানে দলের অনুষ্ঠান ছিল না। সরকারি উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট তৈরির যে পরিকল্পনা হয়েছে, তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আরও অনেকের সঙ্গে মাদারিহাটের ওসি ছিলেন। বিজেপি নেতারা তাঁর ছবি পোস্ট করে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা পাল্টা বলেন, “সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান থাকলে, তাতে প্রশাসনের কর্তারা থাকেন। পুলিশের তখন কাজ হয় আইন-শৃঙ্খলা দেখা। হান্টাপাড়ায় মঙ্গলবার তৃণমূলের দলের বৈঠকই ছিল। তাই তৃণমূলের পতাকার মাঝে মাদারিহাটের ওসি-কে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে। বিরোধী দলনেতার টুইটে চাপে পড়ে গিয়েই এখন পুলিশ ও তৃণমূলের নেতারা শাসকদলের বৈঠককে সরকারি অনুষ্ঠান বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বিজেপির পতাকা দেখা গিয়েছিল। সে জন্য তা কি সরকারি অনুষ্ঠানের বদলে দলের সভা হয়ে গিয়েছিল? সমাজ মাধ্যমে কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন তথ্য দেওয়া উচিত নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy