প্রতীকী ছবি।
নেতা জানতে চেয়েছিলেন প্রস্তাব-পরামর্শ। শুনতে হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতির সামনেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে সংগঠনের নেতারা।
শনিবার জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছাত্র কনভেনশন ছিল টিএমসিপির। সেখানে উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বিভিন্ন কলেজের ইউনিটের সদস্যদের কাছে প্রস্তাব-পরামর্শ শুনতে চান। তখনই মঞ্চে উঠে জলপাইগুড়ি পিডি মহিলা কলেজের টিএমসিপি নেত্রী মৌ হেলা মাইকে বলেন, ‘‘আমাদের কলেজে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই সমস্যা।” দৃশ্যতই বিরক্ত তৃণাঙ্কুর নিজের আসনে বসেই হাতে মাইক তুলে নেন। বলেন, “এ সব আর বরদাস্ত করব না। সবাইকে বলেছি। কোথাও গোলমাল থাকলে দু’পক্ষ একট টেবিলে আলোচনায় বসো। না হলে তৃতীয় পক্ষ আমরাই খুঁজে বের করব।”
কয়েকদিন ধরেই তৃণাঙ্কুর উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের একাধিক কলেজে তিনি গিয়েছেন। সংগঠন সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নানা অভিযোগ তাঁর কানে এসেছে। তার প্রভাব সংগঠনে পড়ছে বলে দাবি দলের নেতাদের। যেমন এ দিন জলপাইগুড়ির সভায় বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে কারা এসেছে তাঁদের হাত তুলতে বললেও একটি-দু’টি ছাড়া হাত ওঠেনি। আয়োজক গোষ্ঠীর বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা সভায় আসেননি। তা নিয়ে বিরক্তিও গোপন করেননি তৃণাঙ্কুর। বলেছেন, “মনে রাখতে হবে টিএমসিপিতে কোনও নেতা বড় নয়। ব্লক, জেলা কোনও নেতার নামে জিন্দাবাদ স্লোগান আর দেবেন না।” ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভার প্রস্তুতি হিসেবেই এ দিন কনভেনশন ছিল। ব্রিগেড চলোর পোস্টার দেওয়াল লিখনে কোনও জেলা, ব্লকের নেতার নাম লেখা যাবে না বলেও এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন তৃণাঙ্কুর।
এ দিন পিডি মহিলা কলেজের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মৌয়ের কথার পরে অস্বস্তিতে পড়েন উপস্থিত সব নেতাই। তৃণাঙ্কুর বলেন, “ওই কলেজের বিষয়ে আমার জানা আছে। কেউ অমুক নেতার লোক, কেউ তমুক নেতার। এ সব আর চলবে না। আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে।” এর পরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সভাস্থল ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন তৃণাঙ্কুর। মৌ পরে বলেন, ‘‘আমার যা বলার ছিল জানিয়েছি। দল যা নির্দেশ দেবে তা মেনে চলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy