বিক্ষোভ: কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র
পরিবর্তিত ফলাফল প্রকাশ হতে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র-ছাত্রী। শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষাসমূহের নিয়ামকের ঘরের সামনে ঘণ্টা খানেক ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের ধাক্কাধাক্কিও হয়। উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার পুলিশ।
এ দিকে, ফলাফল নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এ দিন সন্ধ্যায় ফলাফল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়। তিনি বলেন, “দেড় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেই সময় ঠিক মতো খাতা দেখা হয়নি বলে সরব হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি মতো নতুন করে খাতা দেখে ফের ফলাফল প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ। তারপরেও দেখা গিয়েছে পূর্বের ফলাফলই প্রকাশিত করা হয়েছে। ঠিক মতো খাতা দেখে কর্তৃপক্ষের উচিত ফলাফল প্রকাশ করা।” গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “নিয়ম মেনেই খাতা দেখা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এখন একাংশ ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ করে বলছেন তাঁদের নম্বর পরিবর্তিত হয়নি। পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”
গত, ৩ জানুয়ারি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয়বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় প্রথমবর্ষে ৫১.৮৯ শতাংশ এবং দ্বিতীয়বর্ষে ৮০.৬৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিলেন। যদিও ২০১৭ সালে পাশের হার ছিল প্রথমবর্ষে ৬৭.৭৮ এবং দ্বিতীয়বর্ষে ৮৪.৯৮ শতাংশ। ফলে পরীক্ষার খাতা ঠিক মতো দেখা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার আন্দোলনও করেছিলেন তাঁরা। তারপরে পুনরায় খাতা দেখে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবর্তিত ফলাফল কিছুটা হলেও বেড়েছে। পুনরায় খাতা দেখার পরে প্রথম বর্ষে পাশের হার দাঁড়ায় ৫৪.৪৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৮১.৭৮ শতাংশ। গৌড় মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুপমা সাহা বলেন, “সমাজবিদ্যা পরীক্ষায় ৮০-র মধ্যে পাঁচ নম্বর দেওয়া হয়েছে। পুনরায় খাতা দেখার পরেই একই নম্বর রয়েছে।” এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা অভব্য আচরণ করে, ধাক্কাধাক্কিও করা হয়েছে বলে দাবি করেন পড়ুয়ারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy