তিরবিদ্ধ কুকুর। নিজস্ব চিত্র
কলেজে ক্লাস করে ফিরছিলেন কৌশিক দাস, দীপঙ্কর দাসরা। হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান, রাস্তায় একটি কুকুর শুয়ে রয়েছে। তার পেটের কাছে বিঁধে আছে একটি তির। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কুকুরটিকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু দু’টি সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা যায়নি। দুই হাসপাতালেরই দাবি, তাদের অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো নেই। শেষে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকায় একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের কার্যালয়ে চিকিত্সক ডেকে এনে অস্ত্রোপচার করে কুকুরটির পেট থেকে তির বার করা হয়। কুকুরটি এখন সুস্থ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার তিলনা এলাকার ঘটনা। কেন দুই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানো গেল না, কবে থেকে তাদের এই ব্যবস্থা নেই— এ সব প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তবে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনার দাবি, ‘‘জেলার সমস্ত পশু হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
প্রশ্ন উঠেছে, একটি নিরীহ রাস্তার কুকুরকেই বা কে তির মারল? কেন মারল? তিলনা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই কুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এলাকায় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশ কুকুরটিকে নিয়মিত খাবার দেন। রাতেও কুকুরটি ওই এলাকার বিভিন্ন দোকানের বারান্দা ও বাড়ির সামনে ঘুমোয়। স্থানীয় আনাজ ব্যবসায়ী কমল রায় সরকার ও গৃহবধূ কাকলি দাসের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা চুরি বা কোনও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে বাধা পেয়ে কুকুরটিকে খুনের চেষ্টা করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ‘‘পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হলে আমরা তদন্ত করে দেখব, কে কুকুরটিকে মারার চেষ্টা করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy