বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে। আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারস্বরে ডিজে বাজানোয় আলিপুরদুয়ার শহরের তিনটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ। ওই তিনটি ক্লাব যে শব্দ আইন মানেনি, সে বিষয়টি কলকাতায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। যদিও আলিপুরদুয়ার শহরবাসীর অনেকেরই অভিযোগ, তিনটি নয়, বুধ ও বৃহস্পতিবার শহরের আরও বেশি পুজো কমিটি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নিয়ম ভেঙে ডিজে বাজিয়েছে।
গত বছর আলিপুরদয়ার শহরে প্রথমবার কলকাতার ধাঁচে কার্নিভাল হয়। সেখানে মন্ত্রী, বিধায়ক ও জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের সামনে দিয়ে তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে একের পর এক শোভাযাত্রা যায়। যা নিয়ে গোটা জেলায় বিতর্ক দানা বাঁধে। গতবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এ বার আগে থেকেই বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার শহর ও শহরতলির পুজো কমিটির কর্তাদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে সতর্কও করে দেওয়া হয়।
কিন্তু অভিযোগ, তারপরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বক্সা ফিডার রোডে আয়োজিত এ বারের কার্নিভালে মঞ্চের সামনে দিয়ে একের পর এক বিসর্জনের শোভাযাত্রা তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে যায়। কেউ কেউ আবার অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে ডিজের শব্দ কমিয়ে দিলেও, মঞ্চ থেকে কিছুটা এগিয়েই তা বাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শব্দ আইন অমান্য করে তারস্বরে ডিজে বাজলে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে প্রবীণদের প্রচণ্ড সমস্যা হয়। সেজন্য এ বার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে আয়োজিত পুজো নিয়ে বৈঠকেই কমিটিগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একাধিকক পুজো কমিটি ডিজে বাজিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
পুলিশের অবশ্য পাল্টা দাবি, আগে থেকে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করায় গতবারের চেয়ে এ বছর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে অনেক কম বেজেছে। কিন্তু সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব পুজো কমিটি ডিজে বাজিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।” আলিপুরদুয়ার থানার এক কর্তা বলেন, বুধবার একটি ও বৃহস্পতিবার দুটো পুজো কমিটি শব্দ আইন অমান্য করে ডিজে বাজিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে। যদিও শহরবাসীর অনেকেরই অভিযোগ, বুধ ও বৃহস্পতিবার মিলে তিনের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক পুজোর শোভাযাত্রায় ডিজে বেজেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy