প্রতীকী ছবি।
নম্বর বিভ্রাট নিয়ে বিপাকে পড়লেন মালদহ কলেজের স্নাতক প্রথমবর্ষের কম্পিউটর সায়েন্স এবং বিসিএ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অনলাইনে ফল প্রকাশের সময় প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ বলে উল্লেখ ছিল। অথচ, মার্কশিটে উল্লেখ রয়েছে ফেল। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবার দায় ঠেলেছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে। যদিও পড়ুয়াদের নম্বর বিভ্রাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ত্রুটি নেই বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।
মালদহ কলেজে স্নাতকে প্রথম বর্ষে কম্পিউটর সায়েন্স এবং বিএস বিভাগে শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে। গত, ১৩ নভেম্বর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল অনলাইনে প্রকাশিত হয়। সেই সময় ওই দুই বিভাগের পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ দেখানো হয়। এরপরেই কলেজগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাঠানো হয় মার্কশিট। পড়ুয়াদের দাবি, অধিকাংশ পড়ুয়ারই মার্কশিটের সঙ্গে অনলাইনের ফলে মিল নেই। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন পড়ুয়ারা। প্রণব সরকার, সৌভিক সাহারা বলেন, “অনলাইনের ফলে প্র্যাকটিক্যালে ১৫ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। আবার মার্কশিটে ফেল দেখানো হয়েছে। কেন এমন হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” এ দিন পড়ুয়ারা কলেজে গেলে সেখান থেকে পাঠানো হয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষের ত্রুটির জন্য দুই বিভাগের পড়ুয়াদের নম্বর নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “হোম কেন্দ্রে এখন প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও হয় না। মালদহ কলেজের সিট পড়েছিল গৌড় কলেজে। মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের নম্বর নিজেরাই দিয়েছিলেন। সেই ভিত্তিতে অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল। পরে গৌড় কলেজ থেকে নম্বর পাঠালে সেই ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল।’’ মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কুমার বৈদ্য বলেন, “দ্বিতীয়বার অনলাইন পরীক্ষার ফলাফল আমরা পাইনি। তবে পড়ুয়াদের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy