আয়-ব্যয়: শিলিগুড়ি পুরসভায় বুধবার বাজেট পেশ করছেন মেয়র গৌতম দেব। ছবি: বিনোদ দাস।
প্রায় ৫৯২ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হল শিলিগুড়ি পুরসভায়। বুধবার মেয়র গৌতম দেবের পেশ করা এই বাজেট প্রস্তাবে শিলিগুড়ি শহরের নতুন পানীয় জল প্রকল্প, পার্কিং ব্যবস্থা, উন্নত সাফাই পরিষেবার মতো বিষয় জায়গা করে নিয়েছে।
এ দিন ১০ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র। মেয়রের দাবি, বাজেটে সব চেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন কর আদায় এবং করবহির্ভূত আয়ের উপর। যা রেকর্ড আয় ৫৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯১ টাকা। এই আয়ের হিসাব ১৫ মার্চ পর্যন্ত। তাই তা আরও বাড়বে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। আগের তুলনায় ২৩.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য একে ‘কাল্পনিক’ ও ‘অবাস্তব’ বাজেট বলে মনে করছেন। সেন্ট্রাল ভ্যালুয়েশন বোর্ডের সমীক্ষা চলছে। ভবিষ্যতে ওই কর আদায় আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী।
মেয়র বলেন, ‘‘জল কর আগেই তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০ টাকা হোল্ডিং কর যাঁরা দিতেন তাঁদেরটা এক টাকা করা হয়েছে। বসতবাড়ির মিউটেশন ফি ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করা হয়েছে, বাণিজ্যিক ভবনের ১ শতাংশ। তার পরেও এই আয় বাড়ানো হয়েছে। আগের বোর্ডের কাউন্সিলর তহবিল থেকে বই কেনার মতো অনেক জায়গায় টাকা বকেয়া পড়ে ছিল। আমরা মিটিয়েছি।’’ সেই সঙ্গে মেয়রের দাবি, উন্নয়নের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ানো হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তা দিকটি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য বিমা করানো হয়েছে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, ‘‘এক বছর কোনও কাজ করেনি পুরসভা। তাই আগের বাজেটে যা করবে বলেছিল সেই কাজগুলোর তালিকাই আবার দিয়েছেন মেয়র। যাতে বিরোধীরা বলতে না পারে। এই বাজেট আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। দু’দিনের চাঁদনি, তার পরে ফের অন্ধকার হওয়ার মতো বাজেট।’’ তাঁর অভিযোগ, জল নিকাশি এবং ডেঙ্গি নিয়ে গত বছর পুরবোর্ড ব্যর্থ। বাজেটে তা নিয়ে কিছু নেই। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম বদলে ‘বাংলার বাড়ি’ বলা হচ্ছে। সিপিএমের পুরসভার পরিষদীয় নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই বাজেট কল্পনাপ্রসূত, অবাস্তব। উন্নয়নের ফানুস ওড়ানোর চেষ্টা করেছেন মেয়র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy