চাকরিহারা অনেক শিক্ষকের পাশে দাঁডা়তে চাইছেন শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। তাই স্কুলের তরফেও কাউকে স্কুলে আসতে নিষেধ করার প্রশ্নই নেই, তা কর্তৃপক্ষের অনেকের তরফেই জানানো হয়েছে। কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এত দিনের ওই সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন।
শুক্রবার স্কুলে যাননি চাকরিহারা অনেক শিক্ষকই। তবে শনিবার অনেক স্কুলেই চাকরিহারা শিক্ষকদের কেউ কেউ গিয়েছেন। অনেকে ক্লাসও নিয়েছেন। স্কুলের কাজেও সহযোগিতা করেছেন। প্রধান শিক্ষকেরাও তাঁদের কাজ করতে নিষেধ করেননি।
শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মিডডে মিল, স্কুলের পোশাক নিয়ে বিকাশ ভবন তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স ছিল স্কুল পরিদর্শকদের। সেখানে স্কুল পরিদর্শকদের তরফে কী করণীয় বা কোনও নির্দেশিকা রয়েছে কি না, অনেকে জানতে চান। বিকাশ ভবন থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে এখনও এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তাই স্কুল পরিদর্শকদের দফতরের তরফেও যাতে এখনও এ ব্যাপারে স্কুলগুলিকে কোনও নির্দেশ না দেওয়া হয়।
শিলিগুড়িতে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকে কোনও নির্দেশ এসেছে কি না জানতে স্কুল পরিদর্শকের দফতরের আধিকারিকদের ফোন করেছেন। প্রধান শিক্ষকদের অনেকে আবার সরাসরি স্কুল পরিদর্শকের দফতরে হাজির হচ্ছেন কী করবেন, কোনও নির্দেশিকা আসল কি না, তা জানতে।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সমাজ মাধ্যমে তাঁর স্কুলের চাকরিহারা এবং অন্য শিক্ষকদের এক সঙ্গে ছবি দিয়ে বার্তা দিয়েছেন সকলের পাশে থাকার। ওই শিক্ষিকা অনিন্দিতা গুপ্ত রায় বলেন, ‘‘কোনও নির্দেশ এখনও পাইনি। তাই কাউকে স্কুলে আসতে নিষেধ করতে পারি না। যাঁরা আসছেন, তাঁরা হাজিরা খাতায় সই করছেন। কাজ করছেন।’’ শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুলেও চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকারা স্কুলে গিয়ে কাজ করেছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)