গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রফেসরের পদ খোয়ানো বিশ্বজিৎ দাস সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়ল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতার রাজারহাটস্থিত অফিসে ওই বৈঠক বসে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সাধন সাহাকে শোকজের রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে বলে খবর।
ভুয়ো নথি ও অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দাখিলের অভিযোগে গত মাসেই প্রফেসরের পদ খোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্রন্থাগারিক বিশ্বজিৎ। তাঁকে প্রফেসর পদ ছাড়তে বলা হয়। এখন তিনি ফের বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্রন্থাগারিক পদে পুনর্বহাল হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কেন বিশ্বজিতের পদ কেড়ে নেওয়া হল এবং কী প্রক্রিয়ায়, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয় বৈঠকে। বিশ্বজিতের সেইসব নথিপত্র খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সাধনের বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতে উপাচার্যের নির্দেশে সাধনকে শোকজ করেছিলেন বর্তমান রেজিস্ট্রার। এই বিষয়টিও ইসির বৈঠকে রিপোর্ট আকারে পেশ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। যদিও এসবের প্রেক্ষিতে ইসির বৈঠকে কোনও পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা নিয়ে উপাচার্য স্বাগত সেন থেকে আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথা ইসি-র সদস্য বিপ্লব গিরি বলেন, “ইসিতে অনেক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে বারবারই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। উঠছে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ। সম্প্রতি স্নাতক স্তরের অনার্স পার্ট-ওয়ান ও পার্ট টু-র ফল প্রকাশের পর ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এর জেরে কর্তৃপক্ষ সেই ফল ফের সংশোধিত করে বের করার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রায় এক মাস পর ফের পরিবর্তিত ফল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, তাতেও নানা অসঙ্গতি দেখা যায়। পড়ুয়ারা ফের বিক্ষোভে নামেন।
অসন্তোষ মেটাতে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, পরীক্ষার্থীরা বিনা খরচে তাঁদের যে কোনও বিষয়েরই পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কোনও বিষয়ের নম্বর নিয়ে অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনে সেই পড়ুয়াকে সংশ্লিষ্ট খাতাও দেখানো হবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজগুলিতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত এই সমস্ত পদক্ষেপের বিষয়টি রিপোর্ট আকারে বৈঠকে পেশ করেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হস্টেল তৈরি থেকে শুরু করে হিউম্যানিটিজ় ভবন তৈরির কাজও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই বিষয়টিও ইসি-তে আলোচনায় ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy