রানাঘাট-কাণ্ডের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মিছিল। সোমবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
রানাঘাটে গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার এবং খ্রিষ্টান মিশনারি সংগঠন ও স্কুল-কলেজগুলিতে নিরাপত্তার দাবিতে শিলিগুড়ি শহরে বিশাল মিছিল করলেন শিলিগুড়ি ইউনাইটেড খ্রীষ্টান ফোরামের সদস্যরা।
সোমবার প্রধাননগরের সেন্ট মেরিজ চার্চ থেকে মিছিল শুরু হয়ে হিলকার্ট রোড, কাছারি রোড ঘুরে শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে শেষ হয়। মহকুমাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন ফোরামের সদস্যরা। তাঁর মাধ্যমেই এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান বলে জানিয়েছেন ফোরামের সদস্যরা।
ফোরামের কয়েক হাজার সদস্য ও ছাত্রছাত্রীদের মিছিলের জেরে কয়েক ঘণ্টা যানজটে স্তব্ধ হয়ে পড়ে শহর। যানজট ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। তবে শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) শ্যাম সিংহ বলেন, “কিছুটা সমস্যা হলেও তা সামলে নেওয়া গিয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে কোনও সমস্যা হয়নি।”
মিশনারিজ় সংগঠন ইউনাইটেড খ্রীষ্টান ফোরামের শিলিগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত রেভারেন্ড ফাদার ললিত বলেন, “সারা রাজ্যে এমনকী গোটা দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কমছে। রানাঘাটের ঘটনা তার একটা উদাহরণ। আমরা দ্রুত গণধর্ষণকারীদের শাস্তি চাই।” সংগঠনের সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, “সমস্ত মিশনারি স্কুল, কলেজ ও আবাসনগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমরা আতঙ্কিত। এই আতঙ্ক দূর করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।”
এদিন শিলিগুড়ি মহকুমার ১৩৪ টি চার্চের সদস্যদের নিয়ে মিছিল করা হয়। তাতে যোগ দেয় বহু কনভেন্ট ও মিশনারি স্কুলের পড়ুয়ারা। শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি, বাতাসি, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ প্রতিবাদে সামিল হন। চার্চের সামনে থেকে নিবেদিতা রোড, গুরুঙ্গবস্তি হয়ে মিছিল হিলকার্ট রোডে উঠতেই যানজট তৈরি হয়। এক ঘন্টারও বেশি সময় হিলকার্ট রোডের একদিক পুরো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ট্রাফিক পুলিশ। ফলে একদিক দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে গিয়ে যানজট আরও ভয়ঙ্কর আকার নেয়। হিলকার্ট রোডে ভয়াবহ যানজটের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে স্টেশন ফিডার রোড, বর্ধমান রোডের একাংশ, দেশবন্ধু রোড, কাছারি রোড থেকে বাঘাযতীন রোডও। আগে থাকতেই শহর জুড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও যানজট সামলাতে পথে নামতে হয় এসিপি ও ডিসিদের। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরে মিছিল ভেঙে যায়। তাতেও অবশ্য বিড়ম্বনা কমেনি। ভাঙা মিছিল সামলাতে পুলিশকে বহুক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy