দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীল বিনা বাধায় চেয়ারম্যান মনোনীত হলেন। ওয়াক আউট করে মান বাঁচাল বামেরা। কিন্তু বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ বহু চর্চিত ও প্রতীক্ষিত তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অবশেষে নির্বাচিত হলেও উঠে গেল নানা প্রশ্ন।
এ দিন চেয়ারম্যান নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পুরসভায় শিবির করে ছিলেন দলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নেতা বিধায়ক উদয়ন গুহ। এদিন সরকারি স্তরে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুরভবনে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলাদের প্রতিনিধি দেবজিৎ রুদ্রকে সভাপতি করে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দলের আর এক কাউন্সিলার মদনমোহন কর্মকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৩ জন তৃণমূল প্রতিনিধির হয়ে রাজেনবাবুর নাম চেয়ারম্যান হিসাবে প্রস্তাব দিলে তা পাশ হয়ে যায়। তার আগে এ দিনের ওই সভা অবৈধ বলে বিরোধী ১১ জন বাম কাউন্সিলার ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান। রাজেন শীল দাবি করেন, শহরবাসীর সব রকমের উন্নত নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাতে দেখা যায় তৃণমূল জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে।
বাম কাউন্সিলর অরিজিত চন্দ দাবি করেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে বামফ্রন্টের বৈঠকে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য না থাকার কারণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এদিনের ওই সভার কোনও বৈধতা নেই বলেই আমরা সভা বয়কট করেছি।’’
চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না করায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেসেরও দাবি, পুরসভা বেআইনি ভাবে চালানো হয়েছে। তবে রাজেনবাবুর দাবি, ‘‘চেয়ারম্যানের অবর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যানের উপরে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব বর্তায়।’’ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দাবি, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা না হলে কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy