অর্চনা: চলছে ভারতমাতার পুজো। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র
জাতীয় পতাকার তিনটি রঙের আদলে পুজো মণ্ডপ। ঢাক, ঢোল বাজিয়ে পাঁচ পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হল ভারত মাতার পুজো। বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদহের মুচিয়ার এ বারই প্রথম ভারতমাতার পুজো করলেন গ্রামেরই একদল যুবক। পুজোতে শামিল হন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু থেকে শুরু করে কংগ্রেসের বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারও।
এ বার কেন হঠাৎ মুচিয়ায় ভারতমাতার পুজো হল? জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে লোকসভা ভোটে মুচিয়া পঞ্চায়েতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই হাওয়া ধরে রাখতে তৎপর গেরুয়া শিবির।’’ যদিও পুজোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ভারতমাতার পুজোয় উদ্যোগী হয় গ্রামেরই একটি দল। এক বছর আগে তৈরি এই দলটিতে রয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অভিরাম চৌধুরী, বিজেপির গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য পলি মণ্ডলের স্বামী রাজীব সহ ১৯ জন সদস্য।
নিয়ম মেনেই পুজো করা হয়। পুজোর পর দুপুরে মোটর বাইক র্যালি, পতাকা উত্তোলন হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল। উদ্যোক্তা সংস্থার সম্পাদক উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, “সমাজের মানুষের কাজ করার জন্য আমরা দলটি চালু করেছি। ভারতমাতার পুজো জেলায় তেমন হয় না। আমাদের গ্রামেও আগে কখনও হয়নি। দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই পুজোয় উদ্যোগী হয়েছি।”
দুলাল দাবি করেন, ‘‘মুচিয়া এলাকা থেকে ভোটে সাফল্য পাওয়ার পরে সেই রেশ ধরে রাখতে চায় বিজেপি। সে কারণেই এমন পুজো আচমকা শুরু করে দেওয়া হল। বিজেপি টাকাও ছড়াচ্ছে।’’ যদিও খগেন বলেন, “এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। গ্রামের যুবকেরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে পুজো করেছেন। নিজের দেশকে আমরা সকলেই ভালবাসি।” ভূপেন্দ্রনাথও বলেন, “ভারতমাতা বিজেপির নিজস্ব সম্পত্তি নয়। তাই ভারতমাতার পুজোতে শামিল হয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy