Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Pradhan Mantri Awas Yojana

একই বাড়িতে ফের তদন্তে কেন্দ্রীয় দল

আবাসের তালিকায় নাম থাকা পাকা দ্বিতল বাড়ির মালিক মানিক মহালদার, তৃণমূল নেতা কৈলাস মাজির বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

জানতে: হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় তদন্তে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র

জানতে: হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় তদন্তে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র

অভিজিৎ সাহা, বাপি মজুমদার 
কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০১
Share: Save:

আবাস তালিকায় নাম বাদ আগেই পড়েছিল। তার পরেও অভিযোগ জমা পড়ায়, এক দফায় তদন্ত করে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। বৃহস্পতিবার, কালিয়াচকের সীমান্তবর্তী চরিঅনন্তপুরের সেই গোয়ালপাড়া গ্রামে গিয়ে আবাসের তদন্ত করল কেন্দ্রীয় দল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, আবাসের তালিকায় নাম থাকা গোয়ালপাড়ার সিভিক ভলান্টিয়ার, রেশন ডিলার, অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের বাড়িতে গিয়েছিল শক্তিকান্ত সিংহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। এ দিন সকালে সেই বাড়িগুলিতেই আবাসের তদন্তে যায় জেলায় নতুন করে আসায় অপর এক কেন্দ্রীয় দল।

একই গ্রামে বার বার করে তদন্তে কেন কেন্দ্রীয় দল, উঠছে প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় দলের এক সদস্য আশিস শ্রীবাস্তব বলেন, “কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে যেমন অভিযোগ আসছে, তেমনই গ্রামে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রথম বারের তদন্তের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘চরিঅনন্তপুরের রেশন ডিলার যদুনন্দন দাস, সিভিক ভলান্টিয়ার অভিজিৎ পাণ্ডে, অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কুলেশ মণ্ডলদের নাম ডিসেম্বর মাসেই আবাসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

গোয়ালপাড়া থেকে বেরিয়ে কালিয়াচক ৩ ব্লকের বিডিও অফিসে যান কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। এর পরে, দুপুরে শহরে ফিরে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জ়েবাকে নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। তার পরে, ফের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহালদার পাড়ায় তাঁরা পৌঁছে যান। বুধবার ভালুকা পঞ্চায়েতে একাংশ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে আটকে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ফলে, মহালদারপাড়া গ্রামে না গিয়েই তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছিল। এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ মহালদার পাড়ায় পৌঁছে যান তাঁরা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে না হলেও মহিষের তাড়া খেয়ে এক বাড়িতে ঢুকে পড়েন, কেন্দ্রীয় দলের সদস্য রাম সাগর। মহিষের পিছনে লাঠি হাতে ছুটতে শুরু করে পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, মুচকি হাসেন রাম।

এর পরে, ফের তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। আবাসের তালিকায় নাম থাকা পাকা দ্বিতল বাড়ির মালিক মানিক মহালদার, তৃণমূল নেতা কৈলাস মাজির বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, মহালদারপাড়া গ্রামে আবাস যোজনা নিয়ে ১০টি অভিযোগ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে জমা পড়েছে। সে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Pradhan Mantri Awas Yojana kaliachawk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE